শেফাইল উদ্দিন :

কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ের জনগণ শীতে কাঁপছে। শুরু হওয়া শৈত্য প্রবাহের কারণে ছন্দপতন হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় । সেই সাথে দেখা দিয়েছে শীতজনিত নানা রোগ। সব মিলিয়ে এ অঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

টানা সাপ্তাহব্যাপী প্রচন্ড শীত ও শৈত্য প্রবাহের কারনে দুর্ভোগ দুর্দশা বাড়ছে খেটে খাওয়া মানুষের।
কষ্ট বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষ, বৃদ্ধ, শিশু এবং অসুস্থ মানুষের । সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে বাজার-ঘাট প্রায় জনশূন্য হয়ে যায়।
এলাকার খেটে খাওয়া মানুষেরা খড়কুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। শৈত্যপ্রবাহের হাড়কাঁপানো শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু-পাখিও কাবু হয়ে পড়ছে। দিনের প্রথম ভাগ ঢাকা থাকে ঘন কুয়াশায়। কোথাও কিছুক্ষণের জন্য সূর্যের মুখ দেখা গেলেও নিমিষেই ঘন কুয়াশায় তা ঢেকে যায়।
ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহের কারণে নষ্ট হচ্ছে কৃষকের আলু ক্ষেত ও বোরো ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজি।
এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় মাথা ব্যথা, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এছাড়া নানা শীতজনিত রোগে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শিশু ও বয়স্করা।
ইজিবাইক চালক আব্দুস সালাম জানান, প্রচন্ড শীতের কারণে লোকজন সন্ধ্যা নামলেই বাড়ি ফিরে তাই ভাড়া হচ্ছে না আগের মত। গভীর রাত পর্যন্ত চালালে গাড়ি ভাড়া ,চার্জভাড়া দিয়ে কিছু টাকা আয় হত যা দিয়ে সংসার চলতো। এখন ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ ভাড়া কোথায় পাব।
ঈদগাঁও জালালাবাদ স্ব্যাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু সাদেকের সাথে কথা হলে জানান, শীত ও শৈত্য প্রবাহের কারনে শীত জনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি শিশুরা এ সব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এ সব সিজনাল রোগ।
ঝুঁকির কারণ নেই।
সচেতন মহল ছিন্নমূল মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান হৃদয়বানদের ।