আমেরিকা মূলত তাদের স্বার্থের জন্য নির্বাচনের আগে কিছু ইস্যু তৈরি করেছিল। ঘটার আগে অনেককিছু বলবে আর ঘটার পরে সব ঠিক এমন মন্তব্য করেছেন সিলেট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় দিকে ঢাকা থেকে বিমানযোগে সিলেট যান সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সের বাসায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. মোমেন বলেন, আমেরিকার একটা নিয়ম—ঘটে গেলে পরে ঠিক। আর ঘটার আগে বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে মূলত তাদের দেশের স্বার্থ হাসিলের জন্য। তারা অনেক কিছুই চায়। ভাবল ইলেকশনের আগে যদি চাপটাপ দিয়ে সেগুলো পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ‘আমেরিকা ডকট্রিন অব রিয়্যালিটিতে বিশ্বাসী। বাস্তব হয়ে গেলে তখন তারা কোনো ঝামেলা করে না। ১৯৭১ সালে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় আমেরিকার সরকার আমাদের বিরোধী ছিল। ১৬ ডিসেম্বর যখন আমরা যুদ্ধে জয়লাভ করলাম, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করলাম। এরপর যখন ১৬টি প্রস্তাব আসে ১৫টাই বাংলাদেশকে সাপোর্ট করে। স্বাধীনতার পর ভারত এবং আমেরিকা আমাদের সবচেয়ে বড় সহযোগী ছিল। তারা আমাদের সাহায্য-সহযোগিতা করেছে। আমেরিকা আমাদের ১ নম্বর রপ্তানি ও বিনিয়োগকারী দেশ। তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে বলে আমি আশাবাদী।’

এরপর ড. মোমেন বলেন, বিরোধী দলের (বিএনপি) অসহযোগ আন্দোলন ও তাদের প্রোপাগান্ডাকে মিথ্যা প্রমাণ করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। জনগণ আমার দল নৌকাকে ভোট দিয়ে স্থায়িত্ব ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রেখেছে।

একজন সংসদ সদস্য হিসেবে সিলেটের চলমান উন্নয়নগুলো সুষ্ঠু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা রেখে তিনি বলেন, আগে মন্ত্রী ছিলাম, তাই ব্যস্ততার জন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও সরাসরি তদারকি করা সম্ভব হয়নি। এখন সংসদ সদস্য হিসেবে সিলেটের চলমান উন্নয়ন কাজগুলো আরও ভালোভাবে দেখভাল করব।