আবদুল নবী, সিবিএন:
মিয়ানমার ইস্যু নিয়ে আতঙ্কে জীবনযাপন করছে সীমান্তে বসবাসকারীরা। ওপারের টানা গোলাবর্ষণ, মর্টারশেল বিস্ফোরণের শব্দে কম্পন বাড়ছে সীমান্তে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে প্রসাশস। ইতোমধ্যে বান্দরবানে স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান ও বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও উখিয়ার পালংখালী থেকে টেকনাফের হ্নীলা পর্যন্ত সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধের গোলাবর্ষণের শব্দ ভেসে আসছে। এই এলাকাসমূহে প্রায় ১ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে সংঘাত বেড়েছে। তাদের ছোঁড়া গুলি ও মর্টারশেল এসে পড়তেছে এপারের বসত-ঘরে। এই অবস্থায় সীমান্তে বসবাসকারীদের পরিস্থিতি বিবেচনায় সরিয়ে নেয়ার জন্য উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক জানান, সীমান্তে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তের মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদে স্থানান্তরে কাজ করছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা।
সীমান্তের পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত এলাকার লোকজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান উভয়ই জেলা প্রশাসক।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।