গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থগিত হওয়া নওগাঁ-২ (পত্নীতলা-ধামইরহাট) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মো. শহিদুজ্জামান সরকার বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলে বিজয়ী হয়েছেন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রিটার্নিং অফিসার মো. গোলাম মাওলা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন তিনি।
ঘোষিত ফল অনুযায়ী, ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়েছেন শহিদুজ্জামান সরকার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের ইঞ্জিনিয়ার এইচ এম আখতারুল আলম পেয়েছেন ৭৪ হাজার ৩৬৩ ভোট।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকে অ্যাডভোকেট তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল পাখি প্রতীকের মেহেদী মাহমুদ রেজা পেয়েছেন ১ হাজার ৪৭৯ ভোট।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মওলা বলেন, গত ৭ জানুয়ারির মতো এ নির্বাচন যথেষ্ট সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারণে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরিস্থিতি খুবই সন্তোষজনক ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা গোলাম মওলা স্বাক্ষরিত ফলে জানা যায়, ধামইরহাট ও পত্নীতলা উপজেলা নিয়ে গঠিত নওগা-২ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৮৬৫ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। মোট ভোট পড়েছে ৫৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
নির্বাচনে ৭১ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৪০২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ পোলিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ৮০৪ জন। ৭১টি ভোটকেন্দ্রে স্থায়ী ভোট কক্ষের সংখ্যা ছিল ৪০২ এবং অস্থায়ী ২৮টি। ভোটগ্রহণের জন্য মোট ৮৩০ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত ছিল। এদের মধ্যে ১২৪ জন প্রিসাইডিং অফিসার এবং ৭০৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার।
নওগাঁর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক জানান, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলার এই দুই উপজেলাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছিল। প্রতিটি কেন্দ্রে ৪ জন করে পুলিশ সদস্য, মোবাইল টিম নিয়োজিত ছিল। প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। এই দুই উপজেলায় মোট ৮ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নিয়োজিত করা হয়। এ ছাড়াও প্রয়োজনীয় সংখ্যক আনসার সদস্যও নিয়োজিত ছিল। এক কথায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আমিনুল হকের মৃত্যুজনিত কারণে আসনটিতে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।