আবুল কালাম ছিদ্দিকী এডভোকেট :

 

 

ছালামত উল্লাহ। এটি একটি শুধু নাম নয়। একটি ইতিহাস। একটি প্রতিষ্ঠান। একটি ইনষ্ঠিটিউটশন। প্রজ্বলিত এক আলোক শিখা। মানবতার ফেরিওয়ালা। নৈতিকতা ও শিষ্টাচার সমৃদ্ধ আধুনিক সমাজ বিনির্মানের এক সফল কারিগরের নাম। মানবকল্যানে নিবেদিতপ্রাণ এক স্বপ্নবাজ মানুষের প্রতিচ্ছবি।

এই ইনষ্ঠিটিউটের অতি কাছে যাওয়ার আমার সৌভাগ্য হওয়াতে তা আমি সহজে উপলব্ধি করতে পেরেছি। ১৯৭৯ সালে ৩ ফেব্রুয়ারী আইনজীবী হিসাবে এনরোলমেন্ট হওয়ার পর এ পাঠশালায় আমি ভর্তি হই। আইন পেশায় এ মানুষটির কাছেই আমার হাতেখড়ি। বিদ্বেষ ও হিংসাবিহীন চরিত্র, মানুষকে যে কত আপন করে নেয়, তা আমি অতি কাছে থেকে নিরবে দেখেছি। নিজের অজান্তেই কোন মানুষ অনুসরনীয় ও আদর্শ হয়ে উঠে, মনের মনিকোঠায় স্থায়ী আসন করে নেন, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হচ্ছে ছালামত উল্লাহ। এ অঞ্চলের মানুষের কাছে যিনি ‘এডভোকেট ছালামত উল্লাহ’ নামেই অধিক পরিচিত ও সমাদৃত। জটিলতা, কঠোরতা, অহংকারীতা যাঁর জীবন অভিধানে নেই। যে মানুষটি আদর্শ ও নীতি কে বিশ্বাস করতেন, সে আদর্শকে মনেপ্রাণে লালন করেছেন আমৃত্যু। কোনদিন কোন প্রতিকূলতা তাঁর আদর্শ থেকে তাঁকে বিন্দু পরিমাণও বিচ্যূত করতে পারেনি।

প্রচার ও কৃতিত্ব বিমুখ এ অহিংস মানুষটি জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়ে দিয়েছেন, মানবকল্যান ও ঘুনেধরা সমাজ সংস্কারে। অসাধারণ মেধাবী ও বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন এডভোকেট ছালামত উল্লাহ তাঁর অদম্য প্রাণশক্তি নিয়ে যে সৃজনশীল কাজ শুরু করতেন, সেটা নিয়ে তিনি আর পেছনে থাকাতেন না। শুধু সামনেই এগিয়ে চলা। ফলে শুরু করা কাজের নিশ্চিত শতভাগ সফলতা আসতো। সেজন্য তাঁর প্রতি গণমানুষের আস্থা ছিলো খুবই প্রগাঢ়। যা একজন সমাজসংস্কারকের জন্য পথ চলার পাথেয়। কক্সবাজারের মানুষকে সর্বাগ্রে কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, এটাই থাকতো এডভোকেট ছালামত উল্লাহ’র কর্মকান্ডের মূল ভিত্তি। সে ভিত্তিকে কেন্দ্র করেই তিনি তাঁর পরিকল্পনাকে সার্বজনীনভাবে সাজাতেন। এজন্য তাঁর সৃজনশীল কর্মকান্ডে, হাতেগড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শুধু তিনিই নন, পুরো কক্সবাজারবাসী সম্মানিত ও মর্যাদাবান হয়েছেন। উপকৃত হচ্ছেন পুরো সমাজ।

তাঁর হাত ধরেই কক্সবাজারে গড়ে উঠেছে অনেক শিক্ষা, সামাজিক, ধর্মীয়, পেশাজীবী, সেবামূলক সংস্থা সহ বহু কল্যানকর প্রতিষ্ঠান। যেসব প্রতিষ্ঠান আজ মহিরুহ হয়ে আলো ছড়াচ্ছে অবিরাম। যা মানুষকে ধাবিত করছে কল্যান ও মানবতার দিকে। যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে, অসংখ্য আলোকিত মানুষ।

এডভোকেট ছালামত উল্লাহ’কে কখনো আত্মকেন্দ্রিক হতে, সংকীর্ণ মনোভাবাপন্ন হতে দেখেনি। সবসময়, সর্বক্ষেত্রে সামষ্টিক ও বহুমাত্রিক চিন্তা নিয়েই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নিজেকে এগিয়ে নিতেন। গঠনমূলক চিন্তা, চেতনা, উদার মানসিকতা, তাঁকে করেছে, মহৎ ও সার্বজনীন। নিজ পরিবার পরিজনের বিষয়টি ছিলো, তাঁর কাছে একেবারে গৌন। বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ও ভবিষ্যত প্রজম্মের জন্য কি করা যায়, সেটাই থাকতো তাঁর চলার মূল লক্ষ্য। তিনি সমাজ থেকে অশান্তির শকুনকে বিতাড়িত করে শান্তির পায়রা উড়াতেন সবসময়।

নিরহংকারী, নির্লোভ, নির্মোহ এডভোকেট ছালামত উল্লাহ’র সহজ সরলভাবে এগিয়ে চলার বিষয়টি সাধারণ মানুষকে বেশ অনুপ্রাণিত, প্রভাবিত করতো। মানবিক মূল্যবোধে উজ্জীবিত করতো। অনেকেই বলতেন, এডভোকেট ছালামত উল্লাহ এত সাদামাটা ও স্বার্থবিহীনভাবে কাজ করেন কেন? তিনি নিজেকে নিয়ে কোন চিন্তা করেন না কেন? কিন্তু তার এই সাধারণ পথচলাই তাঁকে করেছে মহানুভব। হয়ে উঠেছেন, সাধারণের মাঝে অসাধারণ, অনুসরণীয় হয়েছেন, বিশাল ব্যক্তিত্বব্যক্তিবান সুপুরুষ হিসাবে। অদম্য ও অপ্রতিরোধ্য, কর্মপাগল এডভোকেট ছালামত উল্লাহ’র পদচারণা মানুষকে প্রেরণা ও প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ করতো সবসময়।

বহুমূখী পান্ডিন্ত্যের অধিকারী এই বটবৃক্ষ কক্সবাজারবাসীর জন্য ছিলো বিশাল এক সম্পদ। তাঁর কাছে ছিলোনা, দল, মত, গোষ্ঠী ও শ্রেণির ভেদাভেদ। সকলকেই সহজে আপন করে নেওয়ার মোহনীয় শক্তিধর মানুষ ছিলেন, এডভোকেট ছালমত উল্লাহ। প্রথম দর্শনেই তাঁকে মনে হতো তিনি যেন একজন সঠিক পথ পদর্শক, পরম বন্ধু, দীর্ঘদিনের চেনা, আত্মার আপনজন।

উচ্চাকাঙ্খা, উচ্চাভিলাষ ও বিত্ত বৈভব নয়, মানবতা, গণমানুষের ন্যায্য অধিকার, সর্বস্থরে সমতা, ন্যয়পরায়নতা প্রতিষ্ঠাই যাঁর ছিলো প্রধান ব্রতী। এ লক্ষ্য উদ্দ্যেশ্য থেকে এ অঞ্চলে মানবাধিকার ও সবার জন্য বাসযোগ্য একটি পৃথিবী প্রতিষ্ঠায় এডভোকেট ছালামত উল্লাহ কাজ করছেন, আজীবন। এডভোকেট ছালামত উল্লাহ’র জীবন দর্শন ছিলো-মহান আল্লাহ ‘আশরাফুল মাখলুকাত’ হিসাবে তাঁকে সৃষ্টি করেছেন, এটাই বড় কৃতজ্ঞতা ও শোকরিয়া। সুতরাং নিজে কি পেয়েছি, সেটা বড় কথা নয়, দেশ, জাতি ও সমাজকে আমি কি দিয়েছি, কি দায়িত্ব পালন করেছি, সেটাই বড় কথা। আশাবাদী মানুষ এডভোকেট ছালামত উল্লাহ তাঁর এ দর্শনে থাকতেন সদা অবিচল।

ক্ষণজন্মা, মহান সত্যব্রতী পুরুষ ছালামত উল্লাহ এডভোকেট ১৯৩৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম নজীর আহমদ ও মাতা মরহুমা রত্নগর্ভা জয়নাব বেগমের জ্যেষ্ঠ সন্তান এডভোকেট ছালামত উল্লাহ। মরহুম নজীর আহমদ ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা। কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাজারঘাটা এডভোকেট ছালামত উল্লাহ সড়কে তিনি বসবাস করতেন।

তিনি ১৯৫৫ সালে কক্সবাজার সরকারি হাইস্কুল থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেন।১৯৫৭ সালে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে আই.এ এবং ঢাকা সলিমুল্লাহ কলেজ থেকে বি.এ পাশ করেন কৃতিত্বের সাথে। তিনি ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল.এল.বি ডিগ্রি লাভ করেন।

স্কুলজীবনে তিনি ফুটবল খেলা ও স্কাউটিং-এ বেশ সুনাম অর্জন করেন। ১৯৫৩ সালে করাচিতে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতীয় স্কাউটস জাম্বুরিতে কক্সবাজার সরকারি হাইস্কুল থেকে গ্রুপলিডার হিসেবে টিমের প্রতিনিধিত্ব করেন।

তিনি ১৯৬৫ সালের ১৩ আগস্ট কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির একজন নবীন সদস্য হিসাবে যোগদান করে আইন পেশা শুরু করেন। কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির ৯ শতাধিক সদস্যের মধ্যে তাঁর ক্রমিক নম্বর ছিল এক। তিনবার কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচিত সভাপতি হিসাবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যদের জন্য ‘কল্যান তহবিল’ গঠনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন তিনি। যে কল্যান তহবিল সকল বিজ্ঞ আইনজীবীদের জন্য আর্থিক রক্ষাকবচ হিসাবে সুরক্ষা দিচ্ছে। এডভোকেট ছালামত উল্লাহ বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের একজন তালিকাভূক্ত আইনজীবী ছিলেন।

বহুমুখী প্রতিভাসম্পন্ন এডভোকেট ছালামত উল্লাহ দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবাদিকতার সাথেও জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস), এসোসিয়েট প্রেস অব পাকিস্তান (এপিপি), ইংরেজি দৈনিক ডেইলী অবজারভার, দৈনিক জনপদ প্রভৃতি পত্রিকার কক্সবাজার প্রতিনিধি হিসাবে তিনি কাজ করেছেন। কক্সবাজার জেলায় সাংবাদিকতার বিকাশে এবং কক্সবাজার প্রেসক্লাব গঠনে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি কক্সবাজার প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাঁর নেতৃত্বে কক্সবাজারে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কক্সবাজার শাখা গঠিত হয়। তিনি দীর্ঘদিন তদানিন্তন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সদস্য ছিলেন।

তিনি ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও বিভিন্ন কল্যানকর প্রতিষ্ঠানের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তৎকালীন কক্সবাজার মহকুমা মুসলিম ছাত্রলীগের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন এডভোকেট ছালামত উল্লাহ। কক্সবাজার ইসলামী সমাজ কল্যাণ সংসদের সভাপতি ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কক্সবাজার জেলার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন সুদীর্ঘ সময়। তিনি দীর্ঘকাল যাবৎ কক্সবাজার জেলার স্কাউট কমিশনার এবং বাংলাদেশ স্কাউটস কক্সবাজার জেলার সহ-সভাপতি ছিলেন।

এছাড়া কক্সবাজার রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন এডভোকেট ছালামত উল্লাহ। তিনি তদানিন্তন কক্সবাজার মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।

ছালামতুল্লাহ এডভোকেট কক্সবাজার ইসলামিয়া মহিলা কামিল মাদ্রাসা, কক্সবাজার আইন কলেজ, কক্সবাজার মহিলা কলেজ, কক্সবাজার সিটি কলেজ, কক্সবাজার আলহেরা একাডেমী এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ সহ অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক অবদান রাখেন। তিনি দীর্ঘদিন কক্সবাজার আইন কলেজের অবৈতনিক
অধ্যাপক এবং ভাইস প্রিন্সিপালের দায়িত্ব পালন করেন।

কক্সবাজারে বাংলা সাহিত্যের বিকাশে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কক্সবাজারের নবীনদের লিখা প্রথম হাতের লেখা সাহিত্য পত্রিকা তাঁরই উদ্দ্যোগে প্রকাশিত হয়। তিনি তৎকালীন কলকাতার ‘মোহাম্মদী’ পত্রিকার ছোটদের বিভাগে লিখতেন। তিনি ‘আমেরিকা ও আমেরিকার দিনগুলো’, ‘কোরআনের আলোকে সাংবাদিতা’ সহ আরো বেশ কিছু গ্রন্থের রচয়িতা।

১৯৯৬ সালে ছালামতুল্লাহ এডভোকেট আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সরকার কর্তৃক আমন্ত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ভিজিটর্স প্রোগ্রামে (International Visitor Program) যোগদান করেন। উল্লেখ্য যে, এই প্রোগ্রামে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিবুর রহমান (১৯৫২), মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদত (১৯৬১), পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট গোলাম ইসহাক খান (১৯৪৯), শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট রানা সিংহ প্রেমাদাসা (১৯৬৬) এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দীরা গান্ধী (১৯৬১) অংশ গ্রহণ করেন।

আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি, ক্যালিফোর্নিয়া, কলম্বিয়া, বার্লিংটন, ফ্রিপোর্ট, স্যানডিয়াগো, শিকাগোসহ বিভিন্ন শহর ও অঞ্চল সফর করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে মক্কাভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘রাবেতা আল-আলমে ইসলামী’ কতৃক আমন্ত্রিত হয়ে উক্ত সংস্থার অতিথি হিসেবে পবিত্র হজ্জ্ব পালন করেন এবং দেশে ফেরার সময় আরব আমীরাতের বাংলাদেশ সমিতি ও ইসলামিক সেন্টার-এর সদস্যদের আমন্ত্রণে আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবী, দুবাইসহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন।

ক্ষণজন্মা এ কৃর্তিমান পুরুষ ২০২১ সালের ৬ জুন রাতে ৮৪ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি–রাজেউন)। মৃত্যুকালে তিনি এক কন্যা নাসরিন সুলতানা, তিন পুত্র যথাক্রমে আমেরিকা প্রবাসী কবি সাহেদ সা’দ উল্লাহ, রিয়াজ মোহাম্মদ শাকিল ও সোহেল সাইফুল্লাহ জাজি, স্ত্রী এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।

অত্যন্ত স্বজ্জন, ভদ্র, বিনয়ী, সহজসরল, পরোপকারী ও সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্থ, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক এডভোকেট ছালামত উল্লাহকে ৭ জুন কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত বিশাল নামাজে জানাজা শেষে কক্সবাজার শহরের বাহারছরা কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এডভোকেট ছালামত উল্লাহ-কে জান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা করে নিন। আমিন। চুম্মা আমিন।।

(লেখক : সভাপতি, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি এবং এডভোকেট ছালামত উল্লাহ’র চেম্বার জুনিয়র।)