প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গরীব মুর্দার ফ্রী গোসল ও কাফনের ব্যবস্থা বন্ধে কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রীট দায়ের করেছেন এনজিও সংস্থা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন ।
বিচারপতি মামুনুর রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জাম এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে দায়েরকৃত মামলাটি ৬ ডিসেম্বর শুনানী শেষে আদালত স্থিতিবস্থার আদেশ দেন। উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় বাধা প্রদানকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তৎমর্মে বিবাদীগণকে রুল নিশি জারী করেন ।
এনজিও সংস্থা আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশন কর্তৃক দায়েরকৃত উক্ত রিট পিটিশনে চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবিরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যাদের বিবাদী করে সাংবিধানের ১০২ ধারায় রিট মামলাটি দায়ের করা হয় ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরীতে লাশ গোসলের আধুনিক ব্যবস্থা সম্বলিত গরীব দুঃস্থদের জন্য লাশ গোসলখানা নির্মাণে চমেক হাসপাতাল পরিচালকের স্বাক্ষরিত অনুমতিক্রমে চমেক হাসপাতাল জামে মসজিদের উত্তর পার্শ্বে পুরাতন লাশ গোসল খানার পাশে বিপুল অর্থ ব্যয়ে এনজিও সংস্থাটি ‘শেষ স্পর্শ’ নামে আধুনিক লাশ গোসলখানাটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন ।
নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর গোসলখানাটি উদ্বোধনের জন্য চমেক কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয় । অজ্ঞাত কারণে কর্তৃপক্ষ গরীব দুঃস্থ ও বিনামুল্য শব্দ সম্বলিত সাইনবোর্ডটি ২২ ডিসেম্বর খুলে ফেলে ও গোসলখানায় তাঁলা ঝুলিয়ে দেয় ।
পরবর্তীতে এই সব শব্দ বাদ দিয়ে কর্তৃপক্ষের আকস্মিক প্রদত্ত নীতিমালায় দেয়া ডিজাইন অনুযায়ী সাইনবোর্ড নির্মাণ করা সত্ত্বেও চমেক কর্তৃপক্ষ উক্ত গোসলখানা চালু করতে দেয়নি ।
এ ব্যাপারে এনজিওটি জনকল্যাণমূলক ও জনস্বার্থে অলাভজনক কর্মকান্ডে বে-আইনি বাঁধা অপসারণে উক্ত রিট দায়ের করে । আবেদনকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মোহাম্মদ আবু হানিফা ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।