বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাত মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। তারা সরকারের কাছে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, তিন মার্চের মধ্যে সরকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আগামী ৩ মার্চ থেকে সপ্তাহব্যাপী সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সমাবেশে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারের গাল গল্প এমনই জায়গায় পৌঁছেছে যে আজ বলা হচ্ছে, নিয়মিত লোডশেডিংয়ের জন্য প্রস্তুত থাকুন। আর ২৯ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দিয়ে পহেলা মার্চ থেকে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো এবং বলা হলো আগামী অন্তত তিন বছর এভাবেই দাম বাড়তে থাকবে।
ভুলনীতি ও দুর্নীতির কারণে আজ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত অর্থনীতিতে এবং জনগণের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই কাঁটা উপড়ে ফেলার পরিবর্তে জনগণকেই কাঁটায় বিদ্ধ করার নীতি নিয়েছে সরকার। তাই তো প্রকৃত আয় কমে যাওয়া সাধারণ মানুষের কাঁধে আবারও এই মূল্য বৃদ্ধির বোঝা চাপানো হচ্ছে।
তিনি অবিলম্বে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও বিদ্যুতের ভুলনীতি এবং দুর্নীতির সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে শাস্তির দাবি জানান। বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, বাসদ (মার্কসবাদী)’র নেতা ডা. জয়দীপ ভট্টাচার্য, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা শামীম ইমাম, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির আব্দুল আলী ও গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আমেনা আক্তার। সভা পরিচালনা করেন সিপিবি নেতা অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন রেজা।
সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল প্রেস ক্লাব-তোপখানা ঘুরে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র: কালবেলা