প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

এ বছর স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ৫০ বছরে পা দিলো স্বাধীন বাংলাদেশ।
আজ থেকে ৫০ বছর আগে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে বাঙালি জাতি এই কাঙ্খিত স্বাধীনতা অর্জন করে। বিশ্বের মানচিত্রে জন্ম লাভ করে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্র।

স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী ও মহান বিজয় দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজন করেছে ৭দিন ব্যাপী (৮ ডিসেম্বর হতে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত) নিন্মোক্ত কর্মসূচির আয়োজন করেছে
০৮/১২/২০২১খ্রিঃ তারিখ (বুধবার)
আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতা “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের আলোকে”,
০৯/১২/২০২১খ্রিঃ তারিখ (বৃহস্পতিবার)ঃ
আলোচনা সভা ও “বাংলাদেশের উন্নয়ন ১৯৭২-২০২১ খ্রিঃ” এর আলোকে বিতর্ক প্রতিযোগিতা
১১/১২/২০২১খ্রিঃ তারিখ (শনিবার)ঃ
আলোচনা সভা ও কবিতা আবৃত্তি “মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা ভিত্তিক কবিতা”।
১৩/১২/২০২১খ্রিঃ তারিখ (সোমবার)ঃ
আলোচনা সভা ও রক্তদান কর্মসূচি
১৪/১২/২০২১খ্রিঃ তারিখ (মঙ্গলবার)ঃ
পুষ্পমাল্য অর্পণ ও আলোচনা সভা (শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস)
১৫/১২/২০২১খ্রিঃ তারিখ (বুধবার)ঃ
আলোচনা সভা ও রচনা প্রতিযোগিতাÑ“প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১” (অনধিক ২০০০শব্দ)
১৬/১২/২০২১খ্রিঃ তারিখ (বৃহস্পতিবার)ঃ
জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পুষ্পমাল্য অর্পণ, মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী।

বুধবার সকাল ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে কনফারেন্স কক্ষে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া উক্ত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি উদ্বোধন করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ’র কেন্দ্রীয় কার্যকর কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া ভূইয়া।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ১৭৫৭ সালের পলাশীর প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত যাওয়ার পর দীর্ঘ ১৯০ বছরে বিট্রিশ ঔপনিবেশিক শাসন, শোষণ ও নির্যাতনের হাত থেকে ১৯৪৭ সালের ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ মুক্তি পেলেও পূর্ব বাংলার বাঙালির ওপর জেঁকে বসে নতুন জান্তা। ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি জিন্নাহ’র ভ্রান্ত দ্বিজাতি তত্ত্বের ওপর ভিত্তি করে ভারত থেকে আলাদা হয়ে পাকিস্তান নামের একটি অসম রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এর মধ্য দিয়ে শুরু থেকে বাঙালির জীবনে আবারও নেমে আসে শোষণ, অত্যাচার, নির্যাতনের স্টিম রোলার। বিট্রিশ শাসনের হাত থেকে স্বাধীন হলেও এই ভূখন্ডের বাঙালি আবার পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে পড়ে।

তবে থেমে থাকেনি বাঙালি জাতি। ঔপনিবেশিক পাকিস্তানের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ বাঙালি জাতি শুরু থেকেই অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নামে। পাকিস্তানের শৃঙ্খল ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে ধাপে ধাপে আন্দোলন গড়ে ওঠে। মহান ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ৭০ এর নির্বাচনের দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছরের ধরাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জাতি ৭১এসে উপনিত হয়। অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক আন্দোলন স্বাধীকার ও স্বাধীনতার আন্দোলনে পরিণত হয়। আর বাঙালি এ আন্দোলনকে এগিয়ে নেওয়ার অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, বাঙালি জাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠত্ব বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
অপরিসীম সাহস, দৃঢ়চেতা মনোবাব ও আপসহীন নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধু পরাধীন বাঙালি জাতিকে সংগ্রামী হওয়ার প্রেরণা যুগিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ ঝাপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ ৯মাস রক্তক্ষয়ী ও বীরত্বপূর্ণ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ বাঙালি জাতি বিজয় লাভ করে।

৭১ পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন নিয়ে কাজ শুরু করেন ঠিক তখনি দেশী এবং বিদেশী চক্রান্তের মাধ্যমে জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী অবস্থায় নিয়ে যেতে চেষ্টা করে পাকিস্তানি দোসররা।
দীর্ঘ দিন পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়ার দ্বার প্রান্তে ঠিক তখনি আবারও সে ৭৫ এর নরপিশাচরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তারা আবার বাংলাদেশকে ৭১ পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে চায়। তাদের ষড়যন্ত্রের মূল লক্ষ্য এখন কোমলমতী শিক্ষার্থীরা। তাই স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই ক্ষণে সিবিআইইউ এর সকল শিক্ষার্থীদেরকে সজাগ থাকতে হবে।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুল হামিদ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য সচিব প্রফেসর এ কে এম গিয়াস উদ্দিন, রেজিস্ট্রার, প্রফেসর সুকুমার দত্ত, প্রক্টর ও বিভাগীয় প্রধান ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ, রাজিদুল হক। আরোও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।