কলকাতায় মধ্যরাতে একটি নির্মাণাধীন পাশের ঝুপড়ি ও বস্তি বাড়ির ওপরে ভেঙ্গে পড়েছে। রোববার (১৭ মার্চ) গার্ডেনরিচে পাহাড়পুরের হাজারি মোল্লা বাগান এলাকায় ৫১৩/৩ ব্যানার্জি পাড়া লেনে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু এবং ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেলেও এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দমকল বিভাগ ও সিভিল ডিফেন্স কর্মী ছাড়াও ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। নিহতরা হলেন, সামা বেগম (৪৭) এবং হাসিনা খাতুন (৫৫)। আহতদের মধ্যে ১০ জনকে স্থানীয় নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদেরও চিকিৎসা চলছে।

জানা গেছে, বাড়িটি নির্মাণাধীন হওয়ায় সেখানে কেউ ছিল না। কিন্তু পাশের বস্তি এলাকার ঝুপড়িতে বহুতলটি ভেঙে পড়ে সেখানেই বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রাত থেকে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চলছে উদ্ধারকাজ। সকালেও অনেকের ভেঙে পড়া অংশে আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। সকাল ১০টা নাগাদ মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার দিনের আলো ফুটতেই দেখা যায় কংক্রিটের স্তূপ ছড়িয়ে রয়েছে চারিদিকে। সেই গার্ডেনরিচের বিভিন্ন এলাকাতেই দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি নির্মাণ কাজের অভিযোগ রয়েছে। ওই ভবনটি তৈরির পরই আশপাশের ঝুপড়ির বাসিন্দারা কাজ বন্ধ করার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সেই অনুরোধে কর্ণপাত না করার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীরা।

কলকাতার গার্ডেনরিচ অঞ্চলটিতে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস বেশি। ইতোমধ্যেই আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্যের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ ও ৫ লক্ষ রুপি করে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ভবনের প্রোমোটারকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।