টেকনাফ প্রতিনিধি:

টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ নাফ নদীর জল সীমানায় মিয়ানমারের ৮টি যুদ্ধ জাহাজ দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফলে তাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এদিকে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির (এএ) চলমান সংঘাত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ওপার থেকে ভেসে আসা গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আতঙ্কে রয়েছে সীমান্তে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় শাহপরীরদ্বীপের জলসীমানায় জাহাজগুলো দেখতে পান বলে জানান স্থানীয়রা।

এদিকে গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তেমন গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিকট শব্দ শুনা যায়নি। তবে (শুক্রবার) বিকেল থেকে থেমে টেকনাফ পৌরসভা, সদর শাহপরীরদ্বীপ ও সেন্টমার্টিনে আবারও গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে আসছে।

আতঙ্কিত হয়ে শাহপরীরদ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, গতকাল থেকে গোলাগুলির ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ কিছুটা কম অনুভূত হচ্ছে। তবে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে একসাথে ৮টা মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ দেখা যায় সীমান্তে টহল দিতে।

সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন,
হে আল্লাহ সেন্টমার্টিন দ্বীপবাসীকে হেফাজত করো। মিয়ানমারের বোমা যেন সেন্টমার্টিনের উপর পড়তেছে, এত বিকট শব্দ আর কোনোদিন শুনিনি।
স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে একটা মিয়ানমারের যুদ্ধ জাহাজ দেখা গিয়েছিল। আজকে হঠাৎ ৮টা যুদ্ধ জাহাজ একসাথে টহল দিতে দেখা যায়। গতকাল বিকাল পর্যন্ত গোলাগুলির শব্দ, আজকে আবার যুদ্ধ জাহাজ সবকিছু তেমন ভাল লক্ষণ মনে হচ্ছে না।

সাবরাং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, সকাল থেকে আমি সীমান্তের বেড়িবাঁধের দিকে ছিলাম। তবে গোলাগুলি বা মর্টার শেলের তেমন বিস্ফোরণের শব্দ শুনা যায়নি। সকালে যুদ্ধ জাহাজ দেখা গিয়েছিল এখন চলে গেছে সেগুলো।

টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. এনামুল হক বলেন, গতকাল থেকে আজকে দুপুর পর্যন্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক মনে হয়েছিল। আজকে জুমার নামাজের পর থেকে আবারও গোলাগুলির বিকট শব্দ শুনা যাচ্ছে।

এদিকে গত কয়েকদিন একটানা হ্নীলা ও মিয়ানমারের সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ শুনা যায়। এরপর গতকাল থেকে আজকে দুপুর পর্যন্ত কিছুটা কমলেও এখন আবারও থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে বলে জানিয়েছেন হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী।