কক্সবাজার পৌরসভার ছিনতাই চক্রের মূলহোতা “সালমান ওরফে সালমান শাহ্” নামে এক ব্যক্তিকে কে শহরের টেকনাইফ্যাপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
শুক্রবার (২৯ শে মার্চ) কক্সবাজার শহরের টেকনাইফ্যাপাড়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সালমান ওরফে সালমান শাহ্ (২৭) শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ার টেকনাইফ্যা পাড়া এলাকার খুইল্যা মিয়ার ছেলে ৷
কক্সবাজার র্যাব -৭ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) মো. আবু সালাম চৌধুরী আজ সন্ধ্যা পাঁচটার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, গত ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকার সময় কক্সবাজার সদর থানাধীন পৌরসভার দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নুরুল আজিম (২৬), পিতা-আবদুল মোতালেব, মাতা-জাহানারা বেগম, সাং-দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া, সমিতির বাজার, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার এবং তার এক বন্ধুসহ নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে রুমালিয়ার ছড়া পুলিশ ফাঁড়ির কাছাকাছি পৌঁছালে কক্সবাজার পৌরসভার আলোচিত ছিনতাই চক্রের মূলহোতা সালমান শাহ্’সহ আরও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন ছিনতাইকারী দেশীয় ছুরি ও কিরিচ নিয়ে তাদের পথরোধ করে।
একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ভুক্তভোগীর পকেটে থাকা নগদ ১৫ হাজার) ২৩ হাজার টাকা মূল্যের ০১টি এন্ড্রয়েড ফোন (Redmi Note 13) এবং তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগের মধ্যে ৮ শত টাকা মূল্যের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজে বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় এজাহার দায়ের করেন, যার মামলা নং-৭৯/২২৭।
গতকাল আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, ব্যাটালিয়ন সদরের আভিযানিক দল গোপন তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজার পৌরসভা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এবং ভুক্তভোগী নুরুল আজিম কর্তৃক দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামি ও কক্সবাজার পৌরসভার ছিনতাই চক্রের মূলহোতা “সালমান ওরফে সালমান শাহ্” (২৭) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত সালমান শাহ্ তার নেতৃত্বে ছিনতাই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের সহযোগিতায় রাতের বেলায় শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে অবাধে ঘুরে বেড়ায় এবং সুবিধামতো স্থানে তথা রাস্তার চিপা গলি ও নির্জন পয়েন্টগুলোতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দ্বারা জনসাধারণকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে টাকা-পয়সা, মোবাইল, হাতঘড়ি ও স্বর্ণালংকার ছিনতাই করাসহ নানা প্রকার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে থাকে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।
তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর থানায় বিভিন্ন অপরাধে ০৫টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও গ্রেফতারকৃত সালমানের দেয়া তথ্যানুযায়ী ছিনতাইয়ের ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে র্যাবের আভিযানিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্ত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে ও জানান তিনি।