সৈয়দ উল্লাহ আজাদ :
কক্সবাজার পৌর এলাকায় মশার উপদ্রবে জনজীবন অতিষ্ঠ। পৌরবাসীর অভিযোগ নিয়মিত নালা-নর্দমা ও ড্রেন পরিষ্কার না করায় সে সকল স্থান মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের উত্তর বাহাছড়া এলাকার আব্দুল খালেক এর নেতৃত্বে এলাকাবাসী এ কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথমে ব্যানারটি নিয়ে র্যালির মাধ্যমে এলাকাবাসীকে সচেতন করা হয়। পরে সেটি দেওয়ালে টাঙ্গিয়ে দেন।
ব্যানারে পরিবেশ রাখি পরিস্কার, বন্ধ হবে ডেঙ্গুর বিস্তার শ্লোগানে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো – ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন
■ সচেতন হোন ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকুন, আশ-পাশের ময়লা আবর্জনা ডেঙ্গু মশার স্থান পরিস্কার রাখুন
,সকল এলাকাবাসীর দায়িত্বে নিজ নিজ আঙ্গিনা পরিচ্ছন্ন রাখুন।নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য আবর্জনা ফেলুন।হাত পা ডাকা পোষাক পড়ুন। ডেঙ্গু জ্বর হলে কি করবেন: ডেঙ্গু জ্বর হলে দেরি না করে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কর্মীকে খবর দিবেন বা ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। জ্বর যাতে না বাড়ে সেজন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শক্রমে খেতে পারেন।
রোগীর মাথায় পানি দিন বা ভিজা কাপড় দিয়ে তা মুছে দিন। রোগীকে প্রচুর পরিমাণে তরল ও স্বাভাবিক খাবার খেতে দিন। রোগ বৃদ্ধি পেলে রোগীকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিন। ডেঙ্গু প্রতিরোধের উপায়: নালা, ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিল, টিনের কৌটা, গাভীর পরিত্যাক্ত টায়ার, ভাড়া কলস, ড্রাম, নারিকেল ও ডাবের খোসা, ফাস্টফুডের কন্টেইনার, এয়ারকন্ডিশনার ও রেফ্রিজারেটরের তলায় পানি জমতে দেবেন না। যে সব স্থানে মশা জন্মায়-সেইসব স্থানে পানি জমতে দিবেন না, বাড়ীর ভেতর, আশ-পাশ ও আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখুন।দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় মশারী ব্যবহার করুন।
উদ্যোগ নেওয়া আব্দুল খালেক বলেন,কক্সবাজার ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। মূলত এডিস মশা কামড় দিলে মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়। ফেলে রাখা টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, নালা, ফুলের টব, ডাবের খোসা, দীর্ঘদিন পাত্রে জমে থাকা পানির মধ্যে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে। ফলে এসব স্থান সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে পৌরবাসীর। আমরা নিজেরা যদি একটু সচেতন হই তাহলে আমাদের এলাকা ডেঙ্গু মুক্ত থাকবে। প্রচন্ড তাপপ্রবাহের মধ্যে এলাকাবাসীকে নিরাপদ রাখার জন্য সচেতনতা মূলক ব্যানার টাঙানো শুরু করেছি।
আব্দুল খালেক আরো জানান, যত দিন বেঁচে আছি, এলাকাবাসীর জন্য কাজ করে যাব। মানুষের জন্য কাজ করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে তিনি সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা কামনা করেন।
কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহন করেন।