এইচ এম রুহুল কাদের,চকরিয়া:
এভাবে প্রতিদিন রুটিন করে নদীর পাড়ে বসে অপেক্ষা করছেন ৬ সন্তানের জননী ও ৫১ বছর বয়সী হাজেরা বেগমের অবুঝ ছেলে নিহান ও স্বামী লোকমান । গত বুধবার (১১এপ্রিল) দুপুরে চকরিয়া উপজেলার দক্ষিণ হাজিয়ান আলীপাড়া এলাকার কৃষক লোকমানের স্ত্রী হাজেরা বেগম মাতামুহুরি নদীতে গোসল করতে নেমে আর ফিরে আসেনি।
চকরিয়া উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের দল,স্থানীয় যুবক ও আত্মীয় স্বজন, চট্টগ্রাম থেকে আসা ডুবুরি দল মিলে বেশ কয়েকদিন একটানা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে না পেয়ে হতাশ স্বজনরা । এখন অনেকটা রুটিন করে মাতামুহুরি নদীর তীরে অপেক্ষায় বসে থাকেন স্বামী লোকমান,দুই ছেলে চার মেয়ে এবং স্বজনরা । বিশেষ করে ৫ বছরের অবুঝ ছেলে নিহান মনে করে মা নদীতে গোসল করতে গেছে, খুব দ্রুত ফিরে আসবেন বাড়িতে ।
টেকনাফে সাবের হত্যায় ১৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
পরিবার সূত্রে জানা যায়, নিখোঁজ হাজেরা বেগমকে ২-৩ মাস পূর্বে স্বপ্নে দেখিয়েছিল যে তাকে মাতামুহুরি নদীতে ডালি নিবে। সেই থেকে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে নদীতে যেতে দিতো না। কিন্তু রমজানের শেষ দিন দুপুরে কেউ ইবাদত করছে,কেউ ঈদের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পরিবারের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে নদীতে কাপড় ধুতে ও গোসল করতে যায়। স্থানীয়রা হাজেরা বেগমকে নদীতে কাপড় ধুতে দেখলেও পরবর্তীতে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।
ফায়ার সার্ভিস চকরিয়া স্টেশন ইনচার্জ সেলিম উদ্দিন বলেন,আমরা চট্টগ্রাম থেকে বিশেষ ডুবুরি দল এনে ঈদেরদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়েছি। কিন্তু কোনো ধরণের খোঁজ খবর পাইনি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।