চট্টগ্রামে প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় মো. আলমগীর নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। খবর কালবেলা
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ চট্টগ্রামের বিচারক মো. জাকির হোসেন এই রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নিখিল কুমার নাথ কালবেলাকে বলেন, রায়ের আদেশে বিচারক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও চার মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ বছরের ৩১ মার্চ থেকে আসামি মো. আলমগীর হাজতে আছে এবং রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত মো. আলমগীর কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার হাল কাকারা সওদাগর পাড়ার নুর মোহাম্মদের ছেলে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, মো. আলমগীর এবং ওই তরুণী একই গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। একসময় দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেম। এর সুযোগ নিয়ে প্রায় সময় তরুণীর বাসায় আসা-যাওয়া করতেন আলমগীর। ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট সন্ধ্যা ৬টার দিকে বায়েজিদ থানার তারা গেট এলাকায় ওই তরুণীর বাসায় যান আলমগীর। ওই সময় বাসায় কেউ না থাকায় সুযোগে তরুণীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে আলমগীর। এতে বাধা দিলে তরুণীকে বিয়ে করার আশ্বাস দেন তিনি। পরে আলমগীর তরুণীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরে ওই তরুণী কল দিয়ে বিয়ের কথা বললে তাকে অস্বীকার ও চেনেন না বলে জানান আলমগীর। নিরুপায় হয়ে ২০১৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আলমগীরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু আইনে আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। মামলা আমলে নিয়ে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোকে তদন্তের আদেশ দেন আদালত। তদন্ত শেষে আসামি আলমগীরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি অভিযোগ আমলে নেওয়া হয়। ২০২১ সালের ৩ মার্চ অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। আসামিপক্ষে ১ জন সাফাই সাক্ষী ও রাষ্ট্রপক্ষে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেন।
আরও খবর পেতে যুক্ত থাকুন CoxsbazarNEWS.com এর সাথে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।