এম এ আজিজ রাসেল:
মহেশখালীতে দ্বিতীয় দফায় হামলার শিকার হয়েছেন সেনা সদস্য শামসুল ইসলাম। রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর ২ টায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এসময় সেনা সদস্যের পকেট থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় আসামিরা। হামলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
হামলার শিকার সেনা সদস্য শামসুল ইসলাম চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত। তিনি জানান, ‘গত ৬ এপ্রিল প্রথম দফায় আমার পরিবারের উপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় গত ১৪ এপ্রিল আমার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ বাদি হয়ে মহেশখালী থানায় এই মামলা করেন। যার জি,আর মামলা নং—৮/৬৫। এ ঘটনার জের ধরে মামলার আসামিদের স্বজন এনামের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফায় আবারও আমার উপর হামলা করা হয়। যা সিসি ক্যামেরায় ধারণ হয়েছে। এ বিষয়ে মহেশখারী থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি।’
মামলার আসামীরা হলেন- মহেশখালীর কালারমারছড়া নয়া পাড়ার রমিজ উদ্দিন, রবিউল আলম, মো. হারুনুর রশীদ, রশিদ মিয়া প্রকাশ কালু, এসমত উল্লাহ, রফিক উদ্দিন, শহিদুল্লাহ, আমির হামজা, শফিউল আলম, মহিউদ্দিন প্রকাশ মদাইয়া, নজরুল ইসলাম, সাজিদ মিয়া, মো. জুয়েল মিয়া, মোহাম্মদ সুমনসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন। তারমধ্যে ১৮ এপ্রিল রাতে মামলার প্রধান আসামি রমিজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব—১৫ এর মিডিয়া কর্মকতার্ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী।
পেকুয়ায় ডাক্তারের চেম্বারে মিললো ঝুলন্ত লাশ
ভুক্তভোগী সেনা সদস্য শামসুল ইসলাম আরও বলেন, ‘হামলায় আমার প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রধান আসামি আইনের আওতায় আসলেও অন্য আসামীরা গ্রেপ্তার হয়নি। প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরছে তারা। উল্টো মামলা তুলে নিতে আমার পরিবারকে হত্যাসহ নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে আসামীরা। যার আলোকে আমার উপর পুনরায় হামলা চালানো হয়।’
জানা যায়, গত ৬ এপ্রিল বিকালে ঈদের ছুটিতে মহেশখালী কালামারছড়া নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন সেনা সদস্য মো. শামসুল আলম। বাড়িতে আসার সাথে সাথে আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী ওই সেনাসদস্যের বাড়িতে হামলা করে। এসময় ৮-১০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে ভাঙচুর করা হয় বাড়ির দরজা-জানালা ও আসবাবপত্র। লুট করা হয় মোবাইল ফোন, ৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ২ লাখ টাকা। হামলায় সেনা সদস্যসহ পরিবারের ৪ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- সেনাসদস্য শামসুল ইসলাম, তার বড় ভাই নুর মোহাম্মদ, পরিবারের সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল ও আয়েশা ছিদ্দিকা নিশু।
এ বিষয়ে মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খবর পড়ুন:
রামুর গর্জনিয়ায় পিতা-পুত্রকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা
আরও খবর পেতে যুক্ত থাকুন CoxsbazarNEWS.com এর সাথে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।