নুরুল আলম সাঈদ, নাইক্ষ্যংছড়ি:
মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে আবারও ৩ জন গরু ও ইয়াবা আনতে গিয়ে বাংলাদেশী নাগরিক স্হল মাইন বিস্ফোরণে মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে।
রোববার(৫ মে) সকাল সাড়ে ৭ টার সময় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির অধিনস্থ ফুলতলী বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৪৭ এর শূন্য লাইন থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির স্থাপনকৃত স্হল মাইন বিস্ফোরণে আবারও ৩ জন বাংলাদেশী অবৈধ গরু আনার জন্য গেলে গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা যায়।
আহতরা হলেন, রামু উপজেলার কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিন মৌলভীরকাটা গ্রামের রশিদ আহমদের পুত্র মফিজ (৩৫)। একই এলাকার দক্ষিন মৌলভীরকাটা গ্রামের মো: জাফর চকিদারের পুত্র মো: আব্দুল্লাহ(৩০) ও অপর জন ওই গ্রামের মফিজ এর পুত্র মো : রহিম। উভয়ে তিন পায়ে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন।
জেলায় শ্রেষ্ঠ হওয়ায় অধ্যক্ষ ক্য থিং অং সহকর্মীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত
জানা যায়, মোঃ রহিম (২৮),পিতাঃ রশিদ আহমেদ সাং মৌলভীরকাটা, ৯ নং ওয়ার্ড,শরীরের বিভিন্ন জায়গাতে জখম হন।
উল্লেখ্য আব্দুল্লাহর দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াতে তাকে উদ্ধার করতে একটু বিলম্ব হয়, পরে থাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত ৩ জন মিয়ানমারের ভিতরে গিয়ে গরু এবং মহিষ টানার কাজে নিয়োজিত ছিল। উল্লেখ্য গত ৪ মে ৪৬ ও ৪৭ সীমান্ত পিলার দিয়ে গরু ও মহিষ আনতে গিয়ে মিয়ানমারের ভিতরে স্থল মাইন বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হন, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কম্বনিয়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদের পুত্র মো : আবছার (১৯) ও অপর জন একই গ্রামের আলি আহমদের পুত্র মোঃ বাবুল (১৭) । আহত উক্ত দুই ব্যক্তি কক্সবাজারে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছারের সঙ্গে মোঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুই দিনে দুই দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
খবর পড়ুন:
জেলায় শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারি অফিসার মহসিন ও শ্রেষ্ঠ অস্ত্র উদ্ধারকারী সোলায়মান
খুটাখালী মেদাখালের চর থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।