ডেস্ক নিউজ:
প্রথম ধাপে কক্সবাজার জেলা ৩ উপজেলা কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ২৭ প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছে ৪৮ মামলা। এরমধ্যে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছারের একজনের রয়েছে ২০ টি মামলা। তিনি ৩ উপজেলায় সবোর্চ্চ মামলা কাঁধে নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন।
এসব মামলা দুর্নীতি দমন আইনে,পরিবেশ আইন,বন আইন,অভ্যন্তরিন নৌ-পরিবহন আইন,মারামারি মামলা,মাদক মামলা,চাঁদাবাজিসহ সরকারি কাজে বাধা প্রদানের জন্য দায়ের করা হয়েছে।
এসব মামলায় কোন কোন প্রার্থীকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, কেউ কেউ ইতিমধ্যে সাজা ভোগ করেছেন,কারো মামলা চলমান,কারো খালাস,কেউ কেউ মুক্তি কিংবা মামলার দায় থেকে অব্যহতি পেয়েছেন আবার কারো কারো মামলা স্থগিত রয়েছে,অন্যদিকে কোন কোন প্রার্থী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন,অন্য দিকে বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিরুদ্ধে আবার কোন মামলাই নেই।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন বরাবর প্রার্থী দেওয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা আছে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ২০ টি,যার বেশিরভাগই দুর্নীতি দমন আইনে করা।এর মধ্যে ১৩ টি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন, অব্যহতি পেয়েছেন ১ টি মামলা থেকে,এটি মাললায় রায়ে তিনি ইতি মধ্যে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করেছেন।এছাড়া নুরুল আবছারের বিরুদ্ধে ঢাকা,চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ৫ টি মামলা চলমান রয়েছে।
সদরের আরেক প্রার্থী মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা আছে ১ টি।বর্তমানে সেই মামলা তদন্তধীন এবং তিনি বর্তমানে জামিনে আছেন।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী কায়ছারুল হক জুয়েলের বিরুদ্ধে মামলা আছে ১ টি এবং সেই মামলা থেকে জুয়েলকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।জুয়েল ইতিমধ্যে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়িয়েছেন।
মহেশখালী উপজেলার ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ’র মামলা আছে ৭ টি এর মাঝে ২ টি মামলা চলমান যেখানে তিনি জামিনে আছেন,আর অন্য ৫ মামলা থেকে অব্যহতি পেয়েছেন।এছাড়া অন্য ৪ প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নিশান,জয়নাল আবেদীন,মোহাম্মদ শরীফ বাদশা ও গোলাম কুদ্দুস চৌধরীর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই,এর মধ্যে মোহাম্মদ শরীফ বাদশা নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন।
কুতুবদিয়া উপজেলার ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থী মধ্যে মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর মামলা আছে ১ টি যেখানে তাকে অভিযোগ পত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া অন্য দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ হানিফ বিন কাশেম ও আসহাবের কোন মামলা নেই।
পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে কক্সবাজার সদরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত রশিদ মিয়ার মামলা আছে ৫ টি যা পরে খারিজ করা হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলার ৫ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে শাহাজাহানের মামলা আছে ৭ টি,যেখানে ৩ টি মামলা চলমান বাকি গুলোর মধ্যে ২ টিতে অব্যহতি ১ টিতে মুক্তি ও ১ টিতে খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য ৪ প্রার্থী
মঈনউদ্দিন তোফায়েল,মিফতারুল কবির বাবু,মোঃ আবু সালেহ ,জাহেদুল হুদার কোন মামলা নেই।
কুতুবদিয়া উপজেলার ৩ প্রার্থী মধ্যে আকবর খাঁনের মামলা আছে ১ টি যেটিথেকে তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে।আরেক প্রার্থী জুনাইদুল হকের মামলা আছে ২ টি যা পরে খারিজ করা হয়।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কক্সবাজার সদরর চম্পা উদ্দিনের মামলা আছে ৩ টি এর মধ্যে ১ টি চলমান,১ টি স্থগিত ও ১ টি নিষ্পত্তি হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলার ৩ প্রার্থী জাহানারা বেগম,মনোয়ারা বেগম ও মিনুয়ারা মিনুর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই
কুতুবদিয়া উপজেলার ২ জন প্রার্থী মধ্যে হাসিনা আক্তার ও ছৈয়দা মেহেরুন্নেছর কোন মামলা নেই।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম ধাপে কক্সবাজারের ৩ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ।