টেকনাফ প্রতিনিধি :
টেকনাফ বাহারছড়ার জাহাজপুরায় ছুটি রিসোর্টে গালি-গালাজ ও মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদার মিয়ার সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) বিকালে নিজ বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
তিনি জানান, গত ০৪/০৫/২০২৪ইং টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা ছুটি রিসোর্টে আমার প্রতিন্দন্দ্বী প্রার্থী আলমকে হামলার চেষ্টা ও ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনসহ বাহারছড়াবাসীকে গালি-গালাজ দেওয়ার বিষয়টি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
ঐদিনের ঘটনার সময় আমি বাহারছড়া এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগে ছিলাম,উক্ত বিষয়ে আমি অবগত নয়। খোকন চেয়ারম্যানের বক্তব্যে যা বলা হচ্ছে তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
মূলত খোকন চেয়ারম্যান ভোটের আগে আমার পিতার পক্ষে ভোট করবেন বলে ওয়াদা দিয়েছিলেন। তিনি ওয়াদা ভঙ্গ করে আমার প্রতিন্দন্দ্বী প্রার্থী আলম এর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করে আমি ও আমার পিতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। আমার পিতা আলহাজ জাফর আহমদ এর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে খোকন চেয়ারম্যান শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে।
যেহেতু আমার পিতা আলহাজ জাফর আহমদ চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন-আমি (দিদার মিয়া) যদি খোকন চেয়ারম্যানকে বা বাহারছড়ার মানুষকে গালি-গালাজ দিয়ে থাকি তা রেকর্ড দেখানোর কথা জানিয়েছেন। তিনি এ পর্যন্ত কোন ধরনের রেকর্ড ও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। যা তিলকে তাল বানিয়ে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য পরিবেশন করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
আমার জানামতে বাহারছড়া বাসী মিথ্যা কথায় বিভ্রান্ত হবেন না, বাহারছড়া বাসীর সাথে আমার পরিবারিক রক্তের সম্পর্ক ও প্রাণের স্পন্দন এবং বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সমস্ত অঙ্গসংগঠন দলমত নির্বিশেষে আমার পিতাকে বিজয়ী করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন নেতা, তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই কারণ তাদেরকে জনগণ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তারা বিভিন্ন বানোয়াট ও হাস্যকর কথা বার্তা বলে নাটক মঞ্চস্থ করছে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিন্দন্দ্বী প্রার্থী পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিভিন্নভাবে গুজব ছড়িয়ে ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। পাশাপাশি টেকনাফের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশকে অশান্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। উপজেলাবাসী ২৯ মে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এই অপপ্রচারকারীদের উচিত জবাব দেবে।
আমি একজন টেকনাফ স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী, চলতি বছর এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা সরকারকে রাজস্ব প্রদান করেছি।
আমি অসুস্থতার কারণে ডাক্তার মো. কামাল এর তত্ত্ববধানে চিকিৎসাধীন থাকায় জাহাজপুরা ঘটনার সম্পর্কিত তথ্য প্রদানে কিছুটা বিলম্ব হইল। তার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। উক্ত মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপপ্রচার করিলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য থাকিব।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।