উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে নুরুল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি যুবক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহত হয় পুলিশসহ আরও বেশ কয়েকজন।
আজ মঙ্গলবার (২১ মে) ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত উখিয়ার লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
আহত নুরুল ইসলাম (২৩) উখিয়া কুতুপালং এলাকার সৈয়দ নূরের ছেলে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) দাবি, মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ওয়াহিদ বলেন, ভোর থেকে সাধারণ রোহিঙ্গা ও সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এ সময় রোহিঙ্গারাও পুলিশের ওপর হামলা করে। আমাদের একটি গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশের সদস্যদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন। তবে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখনও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মূলত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের চলমান যুদ্ধে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে এই সংঘর্ষ হয়।
যুবকের গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কীভাবে হয়েছে সেটি আমার জানা নেই।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।