বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড মধ্যম কুতুবদিয়া পাড়ার কাসেম মাঝির ছেলে মো: আব্দু শুক্কুর দীর্ঘ বছর সৌদি প্রবাসী ছিলেন। সেই সুবাদে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশর বিভিন শ্রেণীর পেশার মানুষের সাথে পরিচয় হয় এবং আব্দু শুক্কুরের সাথে তার সহকর্মী প্রবাসী ভাইদের একটি আত্মার সম্পর্ক তৈরী হয়। বিপদে একে অপরের পাশে থাকতেন তারা এবং আব্দু শুক্কুর তার স্ত্রী বাপ্পী আকতার কে গত ৬ মাস আগে সৌদিতে নিয়ে যায়। তারপর শুক্কুর তার বৌ নিয়ে আলাদা একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তবে নিয়মিত যাতায়াত ছিল তার সহকর্মী প্রবাসী বন্ধুদের বাসায়।
প্রতিদিন টাকা পয়সা ও কাজের হিসাব নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতেন সব সহকর্মীরা। গত ১৮ মে স্ত্রী সহ হঠাৎ বাংলাদেশে চলে আসেন সৌদি প্রবাসী আব্দু শুক্কুর।
অভিযোগ ওঠেছে, আব্দু শুক্কুরের দেশে আসার একসপ্তাহ আগে সব সহকর্মীদের সাথে শেয়ার করেন। তিনি সহকর্মীদের জানিয়েছিলেন, তিনি দেশে যাওয়ার জন্য বিমান টিকেন বুকিং করেছেন। তারপর সহকর্মীদের জানান, বাড়ির জন্য কারো টাকা পয়সা এবং স্বর্ণ ও বাসার জন্য হাদিয়া পাঠানোর থাকলে শুক্কুরকে দিতে বলেন।
যেহেতু, সব সহকর্মী প্রবাসী বন্ধু তার সাথে দীর্ঘ বছরের সম্পর্ক সেহেতু সবাই তাকে টাকা, স্বর্ণ, মোবাইল, বাসার লোকজনদের জন্য হাদিয়া বিশ্বস্ততার সাথে তার হাতে তুলে দেন।
ভুক্তভোগী প্রবাসীরা জানান, তারা সবাই প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা সমপরিমাণ টাকা, স্বর্ণ, হাদিয়া নিয়ে আসেন শুক্কুর। কিন্তু গত ১৮ মে আব্দু শুক্কুর বাংলাদেশে আসার পর হাদিয়া প্রেরিত সকল প্রবাসী ভাইদের পরিবারগণের সদস্যরা তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তাকে কোন রকম কোন হাদিয়া, টাকা,স্বর্ণ ইত্যাদি দেওয়া হয়নি।
এক পর্যায়ে তিনি তা অস্বীকার করে ও প্রবাসী ভাইদের পরিবারের সদস্যগণদের হুমকি ধমকি দিচ্ছেন।
ঈদগাঁহ মাছুয়াখালীর এক ভুক্তভোগী সৌদি প্রবাসী মোকাররম জানান, গত ১৮ মে আব্দু শুক্কুর সৌদি থেকে বাংলাদেশ আসবেন বলে জানালে আমি তাকে গত ১৫ মে রাতে ৬ লক্ষ ৫০ হাজার বাংলাদেশি টাকা সমপরিমাণ সৌদি রিয়াল আমার বোনের বিয়ের জন্য বাসায় তার হাতে তুলে দিই। যেহেতু সে আমার সাথে দীর্ঘবছরের পরিচিত ও বিশ্বস্ত।
গত ১৯ মে আব্দু শুক্কুরের সাথে আমার পরিবার যোগাযোগ করতে চাইলে তার ইমু, হোয়াইটস্ আ্যপ এবং যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে রাখেন।
গত ২২ মে ২০২৪ আমার দেওয়া ঠিকানা মতে আমার পরিবারের সদস্যগণ তার বাসায় যায় এবং তার সাথে যোগাযোগ করলে বাড়াবাড়ির মধ্য দিয়ে একপর্যায়ে সে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে।
আমার বড় বোন টাকা ফেরত চাইলে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও টাকা ফেরত দিবে না বলে ক্ষিপ্ত হয়ে বকাঝকা করেনএবং তার মা ও পরিবারের অন্য সদস্যগণ আমার পরিবারের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা দেব না বলে তাড়িয়ে দেন।
৬/৭ বার তার বাসায় গিয়েও কোন সুরহা না পাওয়ায়, গত ২৮ মে আমার বড় বোন জুবাইদা আক্তার বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সৌদি প্রবাসী মোকাররম সহ সকল ভূক্তভোগী প্রবাসীগণ বলেন, আব্দু শুক্কুর একজন প্রতারক। সে আমরা প্রবাসীদের কষ্টে অর্জিত টাকা মেরে দিয়েছে এবং আমাদের সাথে বড় ধরণের প্রতারণা করেছেন। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল ভুক্তভোগী পুলিশ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
আমরা যেন আমাদের কষ্টে অর্জিত টাকা গুলো ফেরত পায় এবং এই ধরনের প্রতারক যেন আর কোন প্রবাসীর কষ্টে অর্জিত টাকা মেরে দিতে না পারে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।