ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বারাণসী থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সেখান থেকে ভোট গণনার প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, নরেন্দ্র মোদি বারাণসীর কংগ্রেস প্রার্থী অজয় রায়ের থেকে ৪৩৬ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুন) ১১টার দিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির লাইভ আপডেট থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট ২৯৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর বিরোধী ‘ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে ২২০টি আসনে।
ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো দল বা জোট যদি সরকার গঠন করতে চায় তাহলে তাদের লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে কমপক্ষে ২৭২টিতে জয় পেতে হবে। ভারতের দুই প্রধান রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেস নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জোট গঠন করে। ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জোট এনডিএ বা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক এলায়েন্স শুরু থেকেই ৪০০-র বেশি আসন পাওয়ার প্রত্যাশা করছে। অপরদিকে, কংগ্রেসের ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) এবার বিজেপির জয়রথ থামানোর ব্যাপারে আশাবাদী।
গত ১৯ এপ্রিল শুরু হয় সবচেয়ে ভারতের ভোটের মহাযজ্ঞ। ৭ ধাপের নির্বাচনের শেষ ধাপে ভোটাভুটি হয় ১ জুন। লোকসভার ৫৪৩ আসনের জন্য এবার লড়েছেন ৮ হাজার ৩৬০ জন প্রার্থী। সরকার গঠনে প্রয়োজন কমপক্ষে ২৭২ আসন।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি প্রথম বুথফেরত জরিপের ফল প্রকাশ করে বলেছে, নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট এবারের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির চারটি সংবাদমাধ্যম ও সংস্থার বুথ ফেরত জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট ৫৪৩ আসনের লোকসভার ৩৫০টিরও বেশি আসনে জয় পেতে পারে। যেখানে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৭২টি আসন প্রয়োজন।
তবে এই বুথফেরত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। মোদি সরকার নাকি কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের প্রত্যাবর্তন হবে সেটি জানতে অপেক্ষা করতে হবে বিকেল পর্যন্ত।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।