সিবিএন ডেস্ক:
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে প্রায় ১১ লাখেরও বেশি মায়ানমার হতে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আশ্রয় নিয়েছে। যার কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন জীবনযাপনে বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে। সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার বিশ্বব্যাংকের অনুদান সহায়তায় ‘জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় মাল্টি-সেক্টর প্রকল্প’ হতে বিভিন্ন সেবা সুবিধা এবং অবকাঠামো বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় অধিবাসী ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক সেবা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান আছে।
বুধবার সকালে প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন খান, বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামের পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান, এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী আবদুর রহমান মুহিব ও বিসিসিপির সিনিয়র উপপরিচালক আবু হাসিব মোস্তফা জামাল।
সভায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে এলজিইডি। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় রাস্তা, কালভার্ট ও সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রাম, পৌরসভা এলাকা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ রাস্তার উন্নয়ন এবং রাস্তার পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হয়। রাস্তার পাশে স্থাপন করা হয় সৌরবাতি। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবেলায় নতুন স্কুল কাম দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রও নির্মাণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকার মধ্যে মাল্টি-পারপাস কমিউনিটি, সার্ভিস সেন্টার নির্মাণ, স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন, নারীবান্ধব সেবাকেন্দ্র নির্মাণ, পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য প্ল্যান্ট নির্মাণ, স্থানীয় হাট-বাজারের উন্নয়ন, ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র নির্মাণ, গভীর নলকূপ স্থাপন, বদ্ধ পাহাড়ি ছড়া ও নালা খনন, পানির রিজার্ভায়ার নির্মাণ, পাইপ লাইন ও ট্যাপস্ট্যান্ডের মাধ্যমে পানি সরবরাহ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের জন্য অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লার্নিং সেন্টার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মাল্টিপারপাস কমিউনিটি সার্ভিস সেন্টার, শিশু সুরক্ষাকেন্দ্র, কমিউনিটি রান্নাঘর, নারীবান্ধব সেবাকেন্দ্র ইত্যাদিতে বিদ্যুৎ সুবিধা দিতে সৌর ন্যানোগ্রিড স্থাপন করা হয়। যা রক্ষণাবেক্ষণেও নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।