মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ফলে বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে বিজিবির কাছে আশ্রয় নেওয়া ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে অপেক্ষারত আছেন।
এর আগে সকাল ৬টায় টেকনাফের হ্নীলা থেকে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তায় বাস যোগে তাদের এই ঘাটে আনা হয়। পরে সেখানে উপস্থিত হন বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মিয়ানমার দূতাবাসের ৪ কর্মকর্তা।
ইতোমধ্যে বিজিবির পক্ষ থেকে মিয়ানমারের ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্যকে সে দেশের দূতাবাস কর্মকর্তাদের আনুষ্ঠানিক হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাটে জাহাজ এলেই কক্সবাজার ছাড়বেন তারা।
মূলত মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ চলাকালে মিয়ানমার থেকে ১৩৪ বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। কাল রোববার দেশে ফিরে যাবেন তারা। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে থেকে ৪৫ বাংলাদেশি দেশের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। মিয়ানমারে কারাভোগ শেষে দেশে ফেরার পথে রয়েছেন তারা।
শনিবার(৮ জুন) বিকাল ৫টায় দেশটির রাখাইন রাজ্যের সিতওয়ে থেকে একটি জাহাজে করে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হন। রোববার ভোরে তাদের দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমারের উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাঈনুল কবির বলেন, “মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ ইউএমএস চিন ডুইন ভোরে ৪৫ বাংলাদেশিকে নিয়ে কক্সবাজারে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
“এই জাহাজে করেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের জের ধরে পালিয়ে আসা দেশটির ১৩৪ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য ফেরত যাবেন।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৪৫ বাংলাদেশি বিভিন্ন সময় মিয়ানমারের বাহিনীর হাতে আটক হন। পরে তারা বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করেন। এখানে কক্সবাজার, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলার বাসিন্দা রয়েছে।
ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং সিতওয়েতে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের অবিচল প্রচেষ্টার ফলে ৪৫ বাংলাদেশিকে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।