বার্তা পরিবেশক:
সম্প্রতি শহরের পূর্ব মোহাজের পাড়ার এক নারী উক্তোক্তা ও তার পরিবারকে নিয়ে বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসী দাবী করেন ওই নারী উক্তোক্তা দীর্ঘদিন ধরে পরিবার পরিজন নিয়ে সৎ উপায়ে জীবন যাপন করে আসছে। কিন্তু গত কিছুদিন ধরে ওই এলাকার চিহিৃত এক মাটিখেকো ও কিছু চিহিৃত ছিনতাইকারীর ইন্ধনে অনলাইন মাধ্যম ও বিভিন্ন ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে নারী উক্তোক্তা রিনা আক্তার, তার পরিবার এবং এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে নানা ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১১ ডিসেম্বর ভয়েসওয়ার্ল্ড২৪ নামের একটি অনলাইনে “কক্সবাজারে সহযোগি নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মদ ব্যবসা : হুমকি দেখান শ্রমিকলীগের” শীর্ষক একটি সংবাদ প্রচার করা হয়। উক্ত সংবাদে শহরের পূর্ব মোহাজের পাড়ার নারী উক্তোত্তা রিনা আক্তার ও তার স্বামীকে জড়িয়ে মিথ্যা তথ্য সম্বলিত সংবাদ প্রচার করা হয়। সংবাদে উল্লেখিত তথ্যগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত এবং ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া কিছুই নয়। সংবাদে উল্লেখিত তথ্যগুলোর সাথে বাস্তবের কোন মিল নেই।
রিনা আক্তার এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে সংবাদে চোলাই মদের ব্যবসা থেকে শুরু হাসপাতাল সড়ক এলাকার ফুটপাত থেকে দৈনিক চাঁদা আদায়ের যে তথ্যগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। মূল ঘটনা হচ্ছে শহরের ৯নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ঘোনার পাড়া কবরস্থান সড়ক এলাকার দীল মোহাম্মদের পুত্র শহরের চিহিৃত ছিনতাইকারী ও একাধিক মামলার পলাতক আসামী রবিউল হাসান রবি গত কয়েকদিন আগে চোলাই মদসহ সদর মডেল থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। আটকের পর পুলিশ পুরনো বেশ কয়েকটি মামলায় রবিউল হাসান রবিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। মূল ঘটনা হচ্ছে রবি আটকের পর যাতে তার সহযোগিরা পুলিশের চোখ থেকে বাঁচতে পারে সেজন্য গুটি কয়েক সাংবাদিকদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে এই ধরণের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা। কারণ, এই রবি রিনা আক্তারকে নানা ধরণের হুমকি দিয়েছিল যে কারণে সে থানায় জিডি করেছিল।
মূল ঘটনা হচ্ছে, রিনা আক্তার ও তার স্বামী তারেক মুরগি ও কবুতরসহ বিভিন্ন পশুর ফার্ম করে সৎ উপায়ে কোন রকম দিনাদিপাত করছে। তাদের বড় ছেলে বর্তমানে ১০ম শ্রেণীতে পড়ুয়া। তাদের স্বাভাবিক সৎ জীবন যাপনকে ব্যাহত করার জন্যই এই ধরনের মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন ফেইক আইডি থেকে প্রচার করা হচ্ছে। শুধু রিনা আক্তার বা তার পরিবার নয়। এই সিন্ডিকেটটি একজন সাংবাদিককে সাথে নিয়ে এলাকায় যারাই মাদক ব্যবসা বা পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়তই এই ধরণের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন এলাকাবাসী। পাশাপাশি তারা প্রশাসনেরও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে হয়রানির শিকার নারী উক্তোক্তা রিনা আক্তার বলেন, মাননীয় পুলিশ সুপার আমি বা আমার পরিবারের যদি কেউ মাদক কারবারি, কিংবা সন্ত্রাসী, অথবা রাজনৈতিক দলের নাম দিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি বা কাউকে হয়রানি করে থাকি তাহলে তদন্ত করে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমার কোন আপত্তি থাকবে না। সমাজের একটি কুচক্রি মহল আমি এবং আমার পরিবারের সম্মান নষ্ট করে আমাদের সমাজে অপরাধী বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাই এই ধরণের মিথ্যা অপপ্রচারে প্রশাসনসহ কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করছি।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
