প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রামু রাজারকুল আজিজুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ মোহছেন শরীফ বলেছেন, মহিমান্বিত কুরবানি ইসলামের মহান শাশ্বত বিধান। হজরত ইব্রাহীম আ. ও হজরত ইসমাঈল আ. এর ইমান দীপ্ত সুমহান আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তাকওয়ার অনুভূতি নিয়ে আল্লাহর নৈকট্য হাসিলের উদ্দেশ্যেই কুরবানি দিতে হবে। মহান আল্লাহর নির্দেশ বাস্তবায়নে কঠিন থেকে কঠিনতম কষ্টও মেনে নিতে হবে। এটিই কুরবানির প্রকৃত তাৎপর্য ও মহান শিক্ষা।

তিনি রামু ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মেরংলোয়া ইসলামি সম্মেলন পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত “মহিমান্বিত কুরবানির ফাযায়িল, মাসায়িল ও শিক্ষা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কুরবানির প্রকৃত তাৎপর্য ও চেতনা ধারণ করে সহীহ্ মাসায়িল অনুযায়ী কুরবানি করতে হবে। তাহলেই মানব জীবন আলোকিত হবে। পরিশুদ্ধ হবে সমাজ ব্যবস্থা।
শনিবার (১৫ জুন) বেলা ১১ টায় রামু মেরংলোয়া রাহামানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ আলোচক ছিলেন, কক্সবাজার শহিদ তিতুমীর ইনস্টিটিউট জামে মসজিদের খতিব, রামু লম্বরীপাড়া দারুল কুরআন নুরানি একাডেমি, হিফজখানা ও এতিমখানার পরিচালক হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর।

রামু কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমপ্লেক্সের সাধারণ সম্পাদক, মেরংলোয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ তৈয়বের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, উখিয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক, মেরংলোয়া সমাজ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ছৈয়দ আকবর।
সম্মেলন পরিষদের সদস্য শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করেন, পূর্ব মেরংলোয়া সমাজ কমিটির সদস্য তৈয়বুল খান। ইসলামি সঙ্গীত পরিবেশন করেন, আয়োজক কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান।

এ সেমিনারে মেরংলোয়া রহমানিয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক মাস্টার খোরশেদুল আলম, সমাজহিতৈষী ডা. আবছার কামাল, শিক্ষানুরাগী ইসহাক বাঙালি, প্রকৌশলী তারেকুর রহমান, শাহেনশাহ মিয়া, প্রতিভা ক্লাবের সদস্য সালাউদ্দিন মাহমুদ, আল মাহমুদ, আয়োজক কমিটির সদস্য রেজাউল করিম বাবু, সাইফুল্লাহ জামান, মিজানুর রহমান মুন্সি, আয়াত উল্লাহসহ দ্বীন অনুরাগী এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।