নুরুল করিম, মহেশখালী
মা তুমি কোথায়? ফিরে এসো মা, ফিরে এসো। হে আল্লাহ তুমি মায়ের সন্ধান মিলিয়ে দাও। এভাবেই আকুতি জানিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন নিখোঁজ তসলিমা বেগম সন্তান’রা। গত ১৭/৮/২০১৫ সালে মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের ডেইলপাড়া নিজ বাড়ি থেকে আমার তসলিমা বেগম ও ছোট ভাই বারেক আমার পিতা বাদশা মিয়া ও দাদি খোশবানু সাথে উখিয়া চাচার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে তিনি আর ফিরে আসেননি। দাদা-পিতা ফিরে আসলেও আমার মা-ভাই আজও ফিরে আসেনি, নিকটাত্মীয় সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়েও মায়ের কোন খোঁজ পাচ্ছি না পিতার থেকে। এরপর থেকেই গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-বাজারে মায়ের সন্ধান করছেন আমার নানার বাড়ির সবাই। বছরে পর বছর বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মায়ের খোঁজ না পাওয়ায় তিনি ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছেন। মাকে খুঁজতে থানায় অভিযোগ করাসহ আশপাশের সকল স্থানে খোঁজ নেই। বাবা বলে মা আছে উখিয়ায় এলাকায় একটানা মাইকিংও করা হয়েছে। পত্রিকায় দিয়েছেন হারানো বিজ্ঞপ্তি।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে ইয়াসমিন আকতার বলেন, আমাদের মা নেই। মা একমাত্র অভিভাবক। তাকে হারিয়ে ফেলেছি। মা কোথায় আছে, কেমন আছে, কীভাবে আছে জানি না। থানায় অভিযোগ করেছি, তারাও কিছু বলতে পারেনি ৯ বছরেও। এখন বাবার কাছে ঘুরে ঘুরে মাকে খুঁজছি। আমরা আমার মাকে আমাদের কাছে ফিরে পেতে চাই। বাবা আর একটা বিয়ে করেছে এখন।
তসলিমার ভাই রবি বলেন, দীর্ঘ নয় বছর বাড়ি থেকে স্বামী ও শাশুড়ি সাথে উখিয়ায় বেড়াতে গিয়ে আমার বোন ৪ সন্তানের জননী ছেলে’কে নিয়ে আর ফিরে আসেননি ঘরে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোথাও পায়নি। অভিযোগ স্বামী ও শাশুড়ি অপরাধী চক্র তার আমার বোন ও ভাগিনাকে অপহরণ বা গুম করেছে তা না হলে এতদিন আমার বোন ও ভাগিনা নিখোঁজ থাকার কথা না। তাই সরকারের কাছে দ্রুত বোন তসলিমা সহ তার বাচ্চাকে খুঁজে বের করতে স্বামী ও শাশুড়িকে আইনের আওতায় আনে জিজ্ঞেসবাদ করা হলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। প্রয়োজনে সন্ধান পেলে আমার এ 01884869298 নম্বরে জানাতে অনুরোধ করছি।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, এ বিষয়ে একটি দীর্ঘদিনের তাই সময়ে ব্যাপার, অভিযোগের তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বিষয়টি প্রচার করা হয়েছে। তার সন্ধান চলছে।