টেকনাফ সংবাদদাতা:
টেকনাফে নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণের সময় মিয়ানমার জলসীমার অভ্যন্তরে মাইন বিস্ফোরণে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ জুলাই) উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে লালদিয়া চরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জোবায়ের (১৯) জাদিমুরা এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে। আহতরা একই এলাকার নূর কামালের ছেলে শাহ আলম (৩০) এবং দমদমিয়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মেস্তরির ছেলে শুক্কুর (২৪)।
নৌ পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ও আহতরা পুরাতন রোহিঙ্গা। তাদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পের বাইরে বন বিভাগের সরকারি জায়গায় বসবাস করে আসছিল।
টেকনাফ নৌ পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, রোববার বেলা ১২টার দিকে তিন রোহিঙ্গা যুবক নাফ নদীতে কাঁকড়া আহরণে যান। একপর্যায়ে তারা শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের লালদিয়া চরে পৌঁছান। সে সময় কাঁদা মাটিতে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে তিনজনই আহত হন। পরে তারা আহতাবস্থায় পানিতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমায় আসেন। এর মধ্যে, শাহ আলম ও শুক্কুর বাড়ি ফিরে আসলেও আঘাত গুরুতর হওয়ায় জোবায়ের নদীর তীরেই রয়ে যান। খবর পেয়ে স্বজনেরা জোবায়েরকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসলে তিনি মারা যান।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।