এম.এ আজিজ রাসেল, সিবিএন:
চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতায় ডুবে ছিল কক্সবাজার শহরের নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে টানা বৃষ্টিপাতে হোটেল—মোটেল জোনের প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এতে পর্যটকসহ স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়ে। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে এবার মাঠে নামলেন পৌর মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।
বুধবার (১০ জুলাই) সকালে হোটেল মোটেল জোনের ‘বি’ ব্লকের গণপূর্ত উদ্যোনের পাশের গলিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। এসময় ড্রেন ও ফুটপাতের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দখলকারীদের অবৈধ স্থাপনা সরাতে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
উচ্ছেদ অভিযান শেষে মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের রয়েছে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত। এখানে সারা বছর লাখো পর্যটক আসে। পর্যটকেরা যাতে কক্সবাজারকে একটি সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে দেখতে পাই, এ জন্য পর্যটন নগরীকে সাজাতে জাইকা, ব্র্যাক, ব্যবসায়ী ও নেতৃস্থানীয়দের সমন্বয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তাই শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেন ও ফুটপাতের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা স্থাপনা নির্মাণকারীদের অনুরোধ করছি, যাতে নালার উপর থেকে তাদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়। আর অনুরোধ না মানলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিব। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
কক্সবাজারকে গ্রিন সিটি রূপান্তরে সম্মিলিত প্রয়াস দরকার: মেয়র মাহাবু
এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম তারিকুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন, ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এম.এ মনজুর, ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল, হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার, সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ ও ব্র্যাকের আরবান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় প্লিজ প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার ফারিয়া আলম রিয়া।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।