আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও:
মায়ের লাশ কবরস্থ না করেই এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হচ্ছে মরহুমার হতভাগ্য ছোট সন্তান বোরহান উদ্দীন সিফাতকে। মর্মন্তুদ ঘটনাটি ঘটছে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায়। বোরহান উদ্দিন সিফাত ঈদগাঁহ রশিদ আহমদ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থী। সে ঈদগাঁও উপজেলার প্রবীণ সাংবাদিক ও অবিভক্ত ঈদগাঁও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি,ঈদগাঁও উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য বিআর হাশেমী বদরুর কনিষ্ঠ সন্তান। ১০ জুলাই বুধবার সোয়া ৫ টার দিকে নিজ বাস ভবনে ইন্তেকাল করেন সিফাতের মাতা জেসমিন আক্তার।
১১ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় তার মায়ের জানাজা ও দাফনের সময়ক্ষন নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সকাল ১০ টায় রামু ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় তাকে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে বিধায় মাকে কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত না করেই তাকে ছুটতে হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রে। সহধর্মিণী হারানো ঈদগাঁও’র বর্ষীয়ান সাংবাদিক বিআর হাশেমী বদরু অশ্রু সজল নয়নে জানান, তার কনিষ্ঠ সন্তান সিফাতকে মাকে চিরবিদায় জানাতে না পারার আফসোস নিয়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে । যা বাবা হিসেবে তাকে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের চরম ব্যথিত করছে।যা আমরণ পরিবারের সদস্যদের স্মতির পাতায় ভেসে উঠবে বলে আক্ষেপ করেন।এসময় মরহুমার কনিষ্ঠ সন্তান এইচএসসি পরীক্ষার্থী সিফাতকে সান্ত্বনা দিতে তার সহ-পার্টিরাও ভিড় জমাতে শুরু করেছে। এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের বিশিষ্ট জমিদার পরিবারের একমাত্র কন্যা, ঈদগাঁওয়ের প্রবীণ সাংবাদিক বিআর হাশেমী বদরুর সহধর্মিণী জেসমিন আক্তারকে শেষবারের মত বিদায় জানাতে স্বজন ও শুভকাংখিদের ভিড় করতে দেখা গেছে ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।