মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
পরিবেশের ক্ষতি করে পাহাড় কাটা, পুকুর ভরাট করা, শর্ত ভঙ্গ, পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকা, নিষিদ্ধ এলাকায় স্থাপনা নির্মানের দায়ে সহ ৭ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর। এরমধ্যে পাহাড় কর্তনের অভিযোগে রামু’র মফিজ আলমকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়েছে।
বুধবার ২২ ডিসেম্বর পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতিসাধন করার অভিযোগে ১৯৯৫ সালের পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের (সংশোধিত-২০১০) এর ৭ ও ১২ নম্বর ধারার বিধান মতে পরিবেশ অধিদপ্তরে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয় এ জরিমানা আরোপ করেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মুফিদুল আলম (জ্যষ্ঠ উপসচিব) তাঁর কার্যালয়ে দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার ২২ ডিসেম্বর এ জরিমানা আরোপ করে পৃথক পৃথক আদেশ দেন।
আরোপিত জরিমানা আদায়ে ব্যর্থ হলে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের আরো যেসব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে জরিমানা আরোপ করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে-পুকুর ভরাটের অভিযোগে কুমিল্লার আদর্শ সদরের মাকসুদা আক্তারকে ২ লাখ টাকা, পাহাড় কাটার দায়ে হাটহাজারী উপজেলার জুয়েলকে ৫ লাখ টাকা, চাঁদপুরের নতুন বাজার এলাকার রওশন অটো রাইচ মিলকে শর্তভঙ্গ করার দায়ে ১০ হাজার টাকা, আশুগঞ্জের হাজী বাড়ি আতব রাইচ মিলকে ২০ হাজার টাকা, লক্ষীপুর সদরের একতা ব্রিকসকে ১ লাখ টাকা ও চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ এলাকার মানিক রাজ ব্রিকসকে ছাড়পত্র না থাকার দায়ে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মুফিদুল আলম বলেন, পরিবেশের ক্ষতি করা, ছাড়পত্র বিহীন ব্রিক ফিল্ড পরিচালনা, শর্ত ভঙ্গ করা সহ নানা অভিযোগে ৭ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, পরিবেশ ও প্রতিবেশ সুরক্ষায় অধিদপ্তরের এ কার্যক্রম নিয়মিত চলবে।