সিবিএন:
টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের ভোট স্বতন্ত্র প্রার্থীর বান্ডিলে ঢুকিয়ে সরকারি দল আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী টানা দুইবারের চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজ উদ্দীনকে পরাজিত করার অভিযোগ উঠেছে। বিজয়ী ঘোষণা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী আমজাদ হোসেন ছোটনের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মাওলানা আজিজ উদ্দীনকে হারিয়ে দিয়েছেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা।
সোমবার বিকালের কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেছেন আজিজ উদ্দীন।
তিনি অভিযোগ করেন, ইউনিয়নের ২, ৩ ও ৮ নং কেন্দ্রে কারচুপি করে নৌকায় সিল মারা ব্যালেট মোটর সাইকেল প্রতীকের বান্ডিলে ঢুকিয়ে দিয়ে আমজাদ হোসেন ছোটনকে বিজয়ী করা হয়েছে। কারচুপির অভিযোগ করা হলেও প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা আমলে নেয়নি। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের বিধিতে পুন: গণনার নির্দেশনা রয়েছে।
তিনি বলেছেন, একটি কেন্দ্রে অভিযোগ দেয়ার পর ভোট পুন: গণনার করা হয়। পুন: গণনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকলের প্রতীকের বান্ডিল থেকে নৌকার ২৩৫ ভোট বের করা হয়। এই তিন কেন্দ্রে পুন: গণনা করলে মোটরসাইলের বান্ডিলে অন্তত ৩০০-৪০০ নৌকার ভোট পাওয়া যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা কেন্দ্রে থেকে নৌকার এজেন্ট বের করে দেয়ারও অভিযোগ করেন তিনি। এজেন্টদের বের করে দিয়ে এই জালিয়াতির অভিযোগ আনেন তিনি।
মাওলানা আজিজ উদ্দীন অভিযোগ করেন, নৌকার ভোট কারচুপির সাথে উপজেলা চেয়ারম্যান নূরুল আলম, কয়েকজন জড়িত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জড়িত। নূরুল আলমের হস্তক্ষেপে মোটা টাকার বিনিময়ে এই কারচুপি করা হয়েছে। নূরুল আলমের মোবাইলের কল রেকর্ড ট্রেকিং করলে এই তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি করেন এই ভুক্তভোগী।
ভোট পুন: গণনার জন্য ইতিমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন মাওলানা আজিজ উদ্দীন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তিনি পুন: গণনার জন্য সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তা না হলে উচ্চ আদালতে মামলার করার জন্য বাধ্য হবেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।