এম.এ আজিজ রাসেল :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে দলীয় প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন এবং যেসব দলীয় নেতা তাদের সহযোগিতা করেছেন তাঁরা দলীয় পদে থাকতে পারবে না। তাদের বিষয়ে দল কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিনিধি সভায় আমন্ত্রিত প্রতিনিধিবৃন্দ সংগঠনের সকল বিষয়ে তাদের মতামত কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন। তাদের সকল মতামত গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে পর্যালোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, দলীয় সংসদ সদস্যদের সাথে কর্মীদের নিয়মিত যোগাযোগ থাকতে হবে। কর্মীদের সাথে ইতিপূর্বে সংসদ সদস্যদের কোনরূপ দুরত্ব সৃষ্টি হয়ে থাকলে সংসদ সদস্যবৃন্দ তা দ্রুত নিরসন করবেন। তিনি যে সকল ইউনিয়নে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি সেসব ইউনিয়নে সম্মেলন সমাপ্ত করার নির্দেশ প্রদান করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম।
নেতৃবৃন্দ বলেন, চক্রান্ত থেমে নেই। সেই চক্রান্তের বিরুদ্ধে কি আমরা রুখে দাঁড়াচ্ছি? আবার যেন কোন ১৫ আগস্ট বা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পুনরাবৃত্তি না হয়। জামায়াত-বিএনপির ধান্ধাবাজ ও দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীর আমাদের দলে আনার দরকার নেই। আমাদের দরকার ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মী। সবাইকে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পদ-পদবীর লোভে নই, রাজনীতি করতে হবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলিয়ান হয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সোহেল সরওয়ার কাজল, আওরঙ্গজেব মাতবর, মহসিন বাবুল, জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, আবুল কাশেম প্রমূখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন সিআইপি, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম চৌধুরী রাজা, এম. আজিজুর রহমান, এড. বদিউল আলম সিকদার, জাফর আলম চৌধুরী, রেজাউল করিম, সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, আশেক উল্লাহ রফিক, জাফর আলম, কানিজ ফাতেমা আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুল হক মুকুল, এড. রনজিত দাশ, আবদুর রহমান বদি, কেন্দ্রীয় নেতা শাহজাদা মহিউদ্দিন, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, এড. আব্বাস উদ্দিন, আবদুল খালেক, এড. মমতাজ আহমদ, ইউনুস বাঙালি, নুরুল আবছার চেয়ারম্যান, হেলাল উদ্দিন কবির, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম, এড. তাপস রক্ষিত, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, নুসরাত জাহান মুন্নী, ড. নুরুল আবছার, এম,এ মনজুর, জিয়া উদ্দিন, সোনা আলী, মকসুদ মিয়া, আমিনুর রশীদ দুলাল, শফিউল আলম চৌধুরী, উম্মে কুলসুম মিনু, মিজানুর রহমান, উপজেলা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মো. আবু তালেব, উজ্জ্বল কর, মাহমুদুল করিম মাদু, মহিদুল্লাহ, জসিম উদ্দিন, এড. সৈয়দ রেজাউর রহমান, শামসুল আলম মন্ডল, নুরুল বশর, সিরাজুল ইসলাম বাবলা, সহযোগী সংগঠনের সোহেল আহমদ বাহাদুর, শহীদুল হক সোহেল, রহিম উদ্দিন, কায়সারুল হক জুয়েল, হামিদা তাহের, আয়েশা সিরাজ, তাহমিনা চৌধুরী লুনা, এস,এম সাদ্দাম হোসেন, মারুফ আদনান, নুরুল আলম সরকার, মৌলানা রফিক উদ্দিন আহমদ প্রমূখ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।