জালাল আহমেদ ,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
গত তিন দিন ধরে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় গুলোর শিক্ষক- কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
জানা যায়, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার সমাজের অবহেলিত এবং পিছিয়ে পড়া প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেন।এই নীতির আলোকে ২ বছর আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষানুরাগী এবং সমাজহিতৈষী ব্যক্তিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ১৭২৬ টি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় স্বীকৃতি এবং এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং এমপিওভুক্তি কোনটাই মিলে নাই। গত বছরের ১৪ অক্টোবর প্রতিবন্ধী স্কুলের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এক মাসের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেন নাই।

তাই প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় গুলোর স্বীকৃতি এবং এমপিওভুক্তির দাবি, শিক্ষকদের বেতন ভাতা, ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিতরণ,বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ ও পাঠ্যপুস্তক বিতরণ, প্রতিবন্ধী স্কুলের নিয়মিত মনিটরিং, প্রতিবন্ধীবান্ধব ভবন নির্মাণসহ ১১ দফা দাবিতে আমরা গত ২০ মার্চ শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছি।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্য সচিব ইশরাত জাহান বলেছেন, আমরা শিক্ষক -কর্মকর্তা -কর্মচারীরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি’র মৌখিক কথায় এক মাসের মধ্যে সুরাহার জন্য অপেক্ষা করেছিলাম। কিন্তু তিনি সমাধানের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। তাই আবার রাজপথে অবস্থান নিলাম। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

আন্দোলনের মিডিয়া সমন্বয়ক পার্থ ঘোষ জানান, আমরা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছি‌। বউ- বাচ্চা কে ঠিক মত খাবার দিতে পারি না ‌। ভালো একটা জামা-কাপড় দিতে পারি না। স্কুল এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারণে আমরা অনিশ্চিত জীবন যাপন করছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক আরিফুর রহমান অপু,টাঙ্গাইল সদর উপজেলার হাইকেয়ার বধির স্কুলের শিক্ষক বেলাল হোসেন, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার আব্দুল আজিজ সরকার প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক মেহেদী হাসান রাজু , যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর অটিস্টিক প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক
হুমায়ূন কবির প্রমুখ।