রকমারী ডেস্ক:  তিনি একজন নামী পরিবেশ কর্মী। কিন্তু মাঝেমধ্যেই শিরোনামে আসেন ‘টপলেস’  হওয়ার কারণেও। সেই যুবতী, ইংল্যান্ডের পরিবেশকর্মী লারা আমহার্স্ট এবার জানালেন তাঁর এক গোপন ইচ্ছার কথা। তিনি ব্রিটেনের  প্রথম ‘টপলেস’ প্রধানমন্ত্রী হতে চান। স্বাভাবিক ভাবেই তরুণীর এমন ইচ্ছের কথায় শোরগোল নেট দুনিয়ায়।

৩১ বছরের লরা ব্রিটেনের একটি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেন। আবার একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক কর্মীও তিনি। লরা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নীতি খুবই খারাপ। আর এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অবহেলা কাম্য নয়। তাঁর যুক্তি, তিনি এ বিষয়ে অনেক ভাল কাজ করতে পারবেন। তবে তার জন্য তাঁকেই প্রধানমন্ত্রী হতে হবে।

বরিসের জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে লন্ডনের বিভিন্ন রাস্তায় প্রতিবাদ বিক্ষাভ দেখান এক সন্তানের মা লরা। প্রতিবাদের সময় নিজের ঊর্ধ্বাঙ্গ উন্মুক্ত রাখেন লরা। কখনও পোস্টারে, কখনও স্টিকারে শরীর ঢাকেন। সেই পোস্টারে যেমন জলবায়ু সংক্রান্ত সতর্কতার বার্তা দেওয়া থাকে, তেমন থাকে বরিসের পদত্যাগের দাবিও। এমনকি টিভির পর্দাতেও উন্মুক্ত শরীরে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ান। নিজের ‘বিপ্লব’ এবং ‘বৈপ্লবিক’ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

লরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হলেও এ ভাবে দফতর সামলাবেন তিনি। তেমন হলে লরা হবেন বিশ্বের প্রথম ‘টপলেস’ বা ঊর্ধ্বাঙ্গের আবরণমুক্ত প্রধানমন্ত্রী। লরা অবশ্য মনে করেন, এতে দোষের কিছু নেই। শরীরে পোশাক রাখা বা না রাখার স্বাধীনতা সকলের আছে। থাকাও উচিত। প্রধানমন্ত্রী হলেই বা সেই স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কেন!

আপাতত রাজনীতিতেই মনোনিবেশ করতে চাইছেন লারা। দেশের মসনদে বসার স্বপ্নকে সত্যি করতে এগিয়ে যেতে চান। কেবল ক্ষমতা দখল করাই তাঁর লক্ষ্য নয়। তরুণীর দাবি, ”আমি রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন নিয়ে আসব।”