মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:

অনেক প্রবীণকেই পাওয়া যায় যাদেরকে দেখাশোনার কেউ থাকে না, তবু তারা নিজেদের বাড়ি ছেড়ে কোথাও যেতে চান না। তাই অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদেরকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিয়মিত যতœ, খাদ্য, চিকিৎসা, খাবার খাইয়ে দেয়া এবং পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রবীণ সেবায় নিয়োজিত কর্মীরা। ২০১২ সালে বৃদ্ধাশ্রম ‘আশ্রয়মম’ এর মাধ্যমে বান্দরবানের রাজবিলায় এ কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে এ কার্যক্রমের আওতায় লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের ৪২ জন অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা সেবা পাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন লামা সেন্টারে এ প্রবীণ সেবার ২৫ জন কর্মীর সাথে মত-বিনিময় করেন, বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ মেডিসিন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে এ কার্যক্রমে আশাবাদ ব্যক্ত করে ডা. নিজামউদ্দিন তার স্ত্রী ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. তাহমীনা বেগম নির্মাণাধীন মাতৃমঙ্গল ও প্রবীণসেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই সেবার মাধ্যমে মমতার ছোঁয়া পাচ্ছেন কিছু প্রবীণ। ফলে এ প্রবীণরা আগের চেয়ে ভালো আছেন মনে হচ্ছে। আসলে প্রবীণদের কষ্টগুলোর কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। তাই সেবা দেয়ার সময় মাথায় রাখতে হবেÑনিজের মতো করে নয়, যে প্রবীণের সেবা দিচ্ছি তার প্রয়োজন বুঝে তার সুবিধামতো সেবা দিতে হবে। এ কাজটি প্রবীণ সেবার সেবকেরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার মনোয়ার হোসেন বলেন, শুরু থেকেই প্রবীণ সেবার সাথে পরামর্শক হিসেবে সম্পৃক্ত আছেন দেশের প্যালিয়েটিভ কেয়ার বা প্রশমন সেবার প্রাতিষ্ঠানিক রূপকার অধ্যাপক ডা. নিজামউদ্দিন আহমেদ। প্যালিয়েটিভ কেয়ার হলো চিকিৎসাবিজ্ঞানের জগতে একটি নতুন ধারা। নিরাময়-অযোগ্য রোগে আক্রান্ত মানুষের জীবনের অন্তিম দিনগুলোকে শান্তিময়, স্বস্তিকর ও অর্থবহ করে তোলা এই সেবার মূল উদ্দেশ্য। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বহুমুখী সেবা কার্যক্রমের মধ্যে প্রবীণ সেবা ২০২০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

সংবাদ প্রেরক———————-