মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি:

আসন্ন ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বহিরাগত লোকজনের প্রভাব বিস্তার, ভোট কারচুপি, জালভোট, কেন্দ্র দখল, কেন্দ্রে ভোট না গণনা, ভোটের ফলাফল ছিনিয়ে নেয়ার জন্য প্রশাসন মেকানিজম সহ নানান অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ৪নং আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদ আহমদ। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে লামা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন তিনি। এ সময় তিনি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতা সহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সেনাবাহিনী, বিজিবি সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের অনুরোধ জানান। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রার্থীর ভাই সামশুল আলম, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আলমগীর চৌধুরী সহ স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী রশিদ আহমদ বলেন, নির্বাচন কমিশন দেশের জনগণকে নিশ্চিত করে বলেছেন ইউপি নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ ও দলীয় প্রভাবমুক্ত ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আমি নির্বাচন কমিশনের এই আশ্বাসের উপর বিশ্বাস করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। আমার মার্কা আনারস। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য নিবচিনের প্রার্থী হওযার পর থেকে আমার ও আমার সমর্থকদের উপর আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নিজে ও তার কর্মী বাহিনী দিয়ে একের পর এক হুমকি এবং ভয় ভীতি প্রদান করে যাচ্ছেন। আমি আইনশৃখলা বাহিনী সহ রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত ভাবে বিষয়গুলো জানিয়ে আসছি। আমার প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীর মদদে তার কর্মী ও সমর্থকেরা ইতিমধ্যে আমার নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে। এখন প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বলেন, নির্বাচনের দিন যে কোন ধরনের প্ররিস্থিতি সৃষ্টি করে ফলাফল তার অনূকুলে নিবে। জনগনের উপর তার কোন আস্থা ও বিশ্বাস নাই। বক্তব্যে তিনি আরো উল্লেখ করেন. পছন্দের লোকদেরকে আজিজনগরের ৯টি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পুলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটি তালিকা অতি গোপনে রিটার্নিং অফিসারের নিকট জমা দিয়েছেন। তার পছন্দের লোকজন ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণও গ্রহণ করেছেন। আমরা নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। তবে আমাদের বক্তব্য হলো রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন অফিসার যদি এমন কিছু করতে চান, তাহলে জনগণ মেনে নিবেন না। এইজন্য যে কোন পরিস্থিতির জন্য রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন অফিসারকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে।