প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
১ ফেব্রুয়ারি “বিশ্ব হিজাব দিবস” উপলক্ষ্যে আইনজীবী বোনদের নিয়ে ‘নারীর সৌন্দর্য্য রক্ষায় হিজাব’ শীর্ষক আলোচনা ও হিজাব বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানটি ঢাকা আইনজীবী সমিতি ভবন অডিটোরিয়ামে আজ বিকাল ৩টায় সম্পন্ন হয়। আয়োজনে সম্প্রীতি মানুষের জন্য-সমাজ এবং কৃতজ্ঞতায় ঢাকা আইনজীবী সমিতি। সম্প্রীতি মানুষের জন্য-সমাজ এর চেয়ারম্যান মো. নূরুজ্জামানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দিন, সিনিয়র এজিএস অ্যাডভোকেট মো. মাঈনুদ্দিন, সাবেক ট্রেজারার অ্যাডভোকেট মো. শামসুজ্জামান, কালচারাল সেক্রেটারি তাসলিমা ইয়াসমিন দিপা, সাবেক কালচারাল সেক্রেটারি তাসলিমা আক্তার আলো, সাবেক লাইব্রেরী সেক্রেটারি হ্যাপি আক্তার, সাবেক ইসি মেম্বার মিনারা আক্তার নিপা, অ্যাডভোকেট সৈয়্যদা ফরিদা আক্তার ইয়াসমিন জেসি, সম্প্রীতি মানুষের জন্য-সমাজ এর উপদেষ্টা অ্যাড. আবু সাঈদ মোল্লা, অ্যাড. পারভেজ হোসেন, অ্যাড. মোহিবুল্লাহ প্রমুখ।
সম্প্রীতি মানুষের জন্য-সমাজ ২০১৫ সাল থেকে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে “বিশ^ হিজাব দিবস”
পালন করে আসছে। বিগত বছরের ন্যায় ২০২৩-এ বছরও ‘নারীর সৌন্দর্য্য রক্ষায় হিজাব’ শীর্ষক আলোচনা ও হিজাব বিতরণ করে।
আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, হিজাবকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এবং পর্দার ব্যাপারে ইসলামী বিধান অনুসরণকারী সব মুসলিম নারীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য প্রতিবছর ১ ফেব্রুয়ারি পালিত হচ্ছে বিশ্ব হিজাব দিবস। কয়েক বছর আগে আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিতে নাজমা খান নামক এক বাংলাদেশী ছাত্রী পোশাকের কারণে জ্যামাইকায় হেনস্থ হন। ওই ঘটনার প্রতিবাদ, নিন্দা এবং সর্বসাধারণকে সচেতন করার জন্য পরবর্তী বছর থেকে আমেরিকায় হিজাব দিবস পালন শুরু হয়।
বিশ্ব হিজাব দিবসে বক্তারা বলেন, ‘আমাদের হিজাব ডে পালন করার উদ্দেশ্য হল মানুষের মাঝে এই মেসেজটা দেওয়া যে পোশাকের স্বাধীনতা সকলের প্রাপ্য অধিকার। বহির্বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনকি দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের তথা বিশেষ করে মুসলিম নারীদের পোশাক নিয়ে যেভাবে হেনস্তা বা হেয় করা হয় আমরা তার প্রতিবাদ জানাই।’
বিশ্ব হিজাব দিবসে বক্তারা আরও বলেন, ‘সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা একটি কদর্য দিক। প্রগতিশীলতার নামে উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের কারণে নারীদের প্রতি হিং¯্রতা বাড়ছে। পুরুষদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর পাশাপাশি নারীরা যদি শালীন পোশাক বা হিজাব ব্যবহার করে তাহলে এ ধরণের ঘটনাগুলো অনেক কমে যাবে। আমরা পারিবারিক বা সামাজিক কোনো চাপে হিজাব পড়ি না, বরং বিশ্বব্যাপী নারীর হিজাব পড়ার অধিকার এক আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। মহিলা আইনজীবীগণ জানান, হিজাব পড়ার কারণে তাদের কোনো কাজ করতে সমস্যা হয় না। অন্যদের মত সামাজিক, অর্থনৈতিকসহ সব কাজে অংশগ্রহণ করছেন তারা।