দ্বাদশ জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ইতোমধ্যে শপথ নিয়েছেন।
আগামী পাঁচ বছর সরকার চালাতে সকল পরিস্থিতিতে কাজ করার তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, সামনে সরকারকে পাড়ি দিতে হবে কঠিন পথ।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রী ও নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নতুন সরকারের সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক- সামনে এই তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
তিনি বলেন, সংসদের ভেতরে-বাইরে নানামুখী চাপ সামাল দিতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারকে। তারমধ্যে এই তিনটি বিষয় চ্যালেঞ্জের।
তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জের বেশিরভাগ হচ্ছে বিশ্ব সংকটের বাস্তবতার ফল। এসব থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা সহজ না।
আশা ব্যক্ত করে করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,
আমরা আজকে যে সংকট অতিক্রম করে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে পেরেছি, এটা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার ম্যাজিক লিডারশিপের ফলেই সম্ভব হয়েছে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যে দক্ষতা, দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছেন সে কারণেই মূলত আমরা সাহস পাই, আমরা আশা রাখি। তিনি আমাদের আশার বাতিঘর, তিনি আমাদের স্বপ্নের সাহসী ঠিকানা। আমরা বিশ্বাস করি, শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব যে দেশে আছে সে দেশ এগিয়ে যাবে।
নতুন মন্ত্রিসভা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ আমাদের লক্ষ্য। আমাদের চলার পথ কখনোই পুষ্প বিছানো ছিল না। আমাদের জন্ম থেকেই এ পথ কণ্টকার্কীণ ছিল। আমরা বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এ পথ সহজ করেছি। সামনে আরও সহজ হবে।
মন্ত্রিসভার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
আমরা মন্ত্রিসভার মিটিং করব। এরপর যার যার মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী যে সব নির্দেশনা দেবেন, বিশেষ করে নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নই আমাদের মূল কাজ।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জয় পায় আওয়ামী লীগ। এ ছাড়া স্বতন্ত্রদের মধ্যে বিজয়ী হন ৬২ জন, যাদের মধ্যে ৫৯ জনই আওয়ামী লীগ নেতা। আর জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১টি আসনে। দুটিতে জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগের শরিক দল জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি এবং একটিতে জয় পেয়েছে কল্যাণ পার্টি। একটি আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।