চরম সমালোচনার মুখে পড়ে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা রিচার্জের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেছে গ্রামীণফোন টেলিকম সেবাদান প্রতিষ্ঠান। তবে সর্বনিম্ন ২০ টাকা রিচার্জে মেয়াদ বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১০ দিন।

গ্রামীণফোনের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রাহকরা। রিচার্জের বিষয়টি নিয়ে গ্রামীণফোনের গ্রাহকেরা ফেসবুকে সমালোচনার ঝর তুলেছে এবং সেই সাথে কয়েকটি ইভেন্ট ক্রিয়েট করে গ্রামীণফোন বয়কটের ডাক দিয়েছে।

গ্রামীণফোন ব্যবহারকারী সালাউদ্দিন নামে আজ (রবিবার) সকালে ২০ টাকা তার মোবাইলে রিচার্জ করে দেখতে পান মেয়াদ পেয়েছেন ১০ দিনের। এবিষয়ে তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে গ্রামীনফোনের সেবা নিচ্ছি। এরা একেকসময় গ্রাহকদের উপর নানা বিষয় চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যা আমাদের পছন্দ না।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামীণফোন গ্রাহক ও বিটিআরসি থেকে বাঁচতে নতুন প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে। তারা ৩০ টাকার সর্বনিম্ন রিচার্জ এর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে গ্রাহকদের রিচার্জ এর ব্যবহারের উপর সময় নির্ধারণ করে দিচ্ছে। এ ধরনের হঠকারী মূলক সিদ্ধান্ত গ্রামীণফোন বা কোন অপারেটর করতে পারে না। তাদের টকটাইমের ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্যাকেজ বিটিআরসি নির্ধারণ করে দিলেও রিচার্জ করার ক্ষেত্রে কোন মেয়াদ কমিশন নির্ধারণ করে দেয় নাই। তাই এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রাহকের নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি করবে। সেই সাথে বাড়বে খরচ, বিটিআরসির উচিত গ্রামীণফোনকে একেকবার এক এক ধরনের হটকারিতামূলক সিদ্ধান্ত নেওয়ার উদ্দেশ্য কি কিংবা তারা কেন এ ধরনের কাজ করছে তার জন্য একটি আনুষ্ঠানিক গণশূনানী অনুষ্ঠিত করা। ওরা আসলে কি চায় সর্বোচ্চ মুনাফায় থাকা একটি প্রতিষ্ঠান কেন এই ধরনের হটকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। বিটিআরসিকে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলন এ পাশাপাশি জিপিকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিব।

ফ্লেক্সিলোডের শুরুর আমল থেকেই গ্রামীণফোনে সর্বনিম্ন ১০ টাকা রিচার্জ করা যেত। ১০ টাকা রিচার্জ করলে ১ মাস মেয়াদ পাওয়া যেত। এরপর ২০২২ সালের জুলাই থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ ২০ টাকা করা হয়। আর এখন ২০২৪ সালে এসে ২০ টাকার এই পরিমাণ গ্রাহকের ক্ষোভের মুখে আবারও বৃদ্ধি না করতে পারলেও মেয়াদ ১০ দিন করা হলো।