দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক ঘণ্টার ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বাড়ল প্রকারভেদে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা। খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়িদের দাবি, সিন্ডিকেট করে স্থানীয় পেঁয়াজের পাইকার ব্যবসায়ীরা এ দাম বাড়িয়েছেন। উপজেলার বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজির পেঁয়াজ বর্তমানে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পেঁয়াজের খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ও পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
খুচরা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হারুন উর রশীদ বলেন, আজ সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পেঁয়াজের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে প্রকারভেদে ৮৭ থেকে ৯০ টাকা। আর খুচরা বাজারে ওই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা কেজি দরে। কিন্তু সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে প্রকারভেদে ১০৫ টাকা কেজি দরে খুচরা বিক্রি করতে শুরু করেন।
এদিকে বাজারে অভিযান চালানোর কথাও শোনা যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ তমাল বলেন, পেঁয়াজের দাম কি কারণে বাড়লো তা আজই (শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি) বাজারে ভ্রাম্যমাণ অভিযান চালিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
পেঁয়াজ কিনতে আসা হিরেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, গত শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে তিন কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলেন। কিন্তু আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাজারে এসে দেখছেন একই দেশি পেঁয়াজের প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। এ জন্য এক কেজি পেঁয়াজ কিনতে বাধ্য হয়েছেন।
হোটেল ব্যবসায়ী উজ্জ্বল মহন্ত বলেন, গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ও গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রতিকেজি পেঁয়াজ কিনেছেন ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজি দরে। কিন্তু আজ শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) একই পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে। এ জন্য হোটেলের জন্য প্রয়োজন ১০ কেজি পেঁয়াজ কিন্তু দাম বৃদ্ধি পাওয়া ৭ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন। কম বেশি করে এতেই চালিয়ে নেবেন তার ব্যবসা।
এদিকে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা হতে পারে এমন খবরে পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের বেশির ভাগই তাদের দোকান বন্ধ করে দেন। আবার অনেকে আরো দাম বাড়বে এমন আশঙ্কায় পেঁয়াজ বিক্রি না করে দোকানে মজুত করে রেখে দিয়ে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী দীপক কুমার বলেন, সকালে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মোকাম থেকে জানানো হয় মোকামে প্রতি মণ দেশি পেঁয়াজ ৪ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ জন্য মোকাম থেকে বলা হয় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১১০ টাকায় বিক্রি করতে। কিন্তু তারা সেটি না করে ৫ টাকা কমিয়ে ১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু এলসির পেঁয়াজ নেই, সেজন্য দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ পড়েছে। তা ছাড়া দেশি পেঁয়াজ শেষের দিকে থাকায় দাম বাড়ছে। নতুন পেঁয়াজ উঠলে দাম কমে আসবে। এ ছাড়া ভারত থেকে এলসিতে পেঁয়াজ আমদানি হলেও পেঁয়াজের দাম কমবে।
সূত্র: কালবেলা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।