বাগেরহাটে মসজিদে হামলায় ইমামসহ ১৫ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) জুমার নামাজের আগে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় মুসল্লিরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামে হেলালিয়া জামে মসজিদে দুপুর ১টার দিকে ৬০-৭০ জন মুসল্লি জুমার নামাজের জন্য খুতবা শুনছিলেন।

১১ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ছেলে ফিরে পেলেন হজে গিয়ে

এ সময় মসজিদের সভাপতি জমিদাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সুলতান আলী হাওলাদারের সঙ্গে প্রতিবেশী হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হেমায়েত উদ্দিনের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন নারী পুরুষ সংঘবদ্ধভাবে মসজিদে ঢুকে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান হাওলাদারকে এলোপতাড়ি মারপিট শুরু করে।

এ সময় মুসল্লিরা বাধা দিলে হামলাকারীরা মসজিদের মধ্যে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।

আহতরা হলেন, মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ (৩৮), বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার (৭১), তার ছেলে এনামুল হক হাওলাদার (৪৮), নাতী রাব্বি হাওলাদার (২৫), মুসল্লি ওবায়দুল হাওলাদার (৪০)।

অপরপক্ষের হালিমা বেগম (৩৫), আসমা বেগম (৩৮), এনায়েত হাওলাদার (৫৫), ইসরাফিল হাওলাদার (২১), তরিকুল ইসলাম জয়সহ (১৪) কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ সময় গুরুতর আহত ৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

নবী (সা:) এর চরিত্র ও ইসলামের সৌন্দর্য

মসজিদ কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আলী হাওলাদার বলেন, ২০ বছর ধরে তারই প্রতিবেশী হেমায়েত উদ্দিন দিহিদারের সঙ্গে দুই একর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। তারা পরিকল্পিতভাবে মসজিদে ঢুকে মহিলাদের নিয়ে এ হামলা চালিয়েছে। এলাকায় ওরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

হেমায়েত উদ্দিন দিহিদার বলেন, মসজিদের সভাপতি সুলতান আলী হাওলাদার মসজিদের কোনো হিসাব নিকাশ না দিয়ে মসজিদের দেড় বিঘা জমি একাই ভোগ করছে। হিসাব চাইলে তার ভাই এনায়েত হাওলাদারসহ ৫ জনকে জখম করে।

মহীয়সী নারী জোহার কাসেম এর নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মসজিদের ইমাম ক্বারী আবু ইউসুফ বলেন, জুমার নামাজের পূর্বে খুতবা পড়ছিলাম। হঠাৎ করে চারদিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। মুসল্লিরা ছোটাছুটি করে চলে গেছেন। আমি নিজেও ইটের আঘাতে আহত হয়েছি। পরে ৬ জন মুসল্লিকে নিয়ে নামাজ পড়েছি।

মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, মসজিদের হামলার বিষয়টি জানি না। ফাঁড়ি পুলিশও আমাকে ঘটনাটি জানায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: কালবেলা