জালাল আহমদ,ঢাকা:

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের নির্বাচনে বিএনপির সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে সভাপতি সহ বিজয়ী চারজন আইনজীবী কে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি।

আজ ২৭ মার্চ বুধবার দুপুরে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে বিজয়ী এই চারজন হলেন সভাপতি পদে ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ,সদস্য পদে ফাতিমা আক্তার, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক ও সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি।

এদিকে চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সদস্য পদে সর্বোচ্চ ভোটে বিজয়ী আইনজীবী অ্যাডভোকেট সৈয়দ ফজলে এলাহী অভি। তিনি বলেন, “এখন পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ঈদের পর সুপ্রিমকোর্ট বারে পুনরায় নির্বাচনে দাবিতে আন্দোলন হবে”।

জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের কয়েকজন নেতার সাথে কথা বলে জানা যায়,গত ২৪ মার্চ বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে গত ৬ এবং ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন সহ বিভিন্ন ইস্যুতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এক জরুরী সভা সংগঠনের সভাপতি সাবেক এটর্নী জেনারেল এড এজে মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব এবং বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল,বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এবং সুপ্রীম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি এড জয়নাল আবেদিন ,সাবেক মন্ত্রী এড নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং ঘোষিত ফলাফলে সুপ্রীম কোর্ট বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির সহ-সম্পাদক, বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিষ্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ফোরামের সহ-সভাপতি ও সুপ্রীম কোর্ট ইউনিটের সভাপতি এড আঃ জব্বার ভুঁইয়া, ফোরামের সহ-সভাপতি এড আবেদ রাজা , সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল প্রমুখ।

সভায় আইনজীবী নেতাদের কে কারাবন্দী করে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রহসনমূলক ভোট গণনা করায় পুনর্নির্বাচনের দাবিতে বিজয়ী বিএনপি সমর্থিত চার আইনজীবী কে দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সেই সিদ্ধান্ত চিঠির মাধ্যমে বিজয়ী চারজন আইনজীবীদের জানিয়ে দেওয়া হয়।

ঈদের পর সুপ্রিম কোর্ট বারে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপস্থিত কয়েকজন আইনজীবী।