অনলাইন ডেস্ক:
সৌদি আরবে আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় ৬০টি গ্রামে ঈদুল ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) পটিয়া, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, লোহাগাড়া, বাঁশখালী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা উপজেলার এসব গ্রামের মির্জাখীল দরবারের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করেন।
মিজার্রখীল দরবার সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশ জাহাগিরিয়া শাহ্ সুফি মমতাজিয়া দরবারের দুজন খলিফা হজরত আতিক উল্লাহ শাহ্ (র.) এবং হজরত আবুল হোসেন (র.) প্রায় ১২৫ বছর পূর্ব থেকে অত্র এলাকায় তাদের পীরানে পীরের নির্দেশ ও মাজহাব মতে পৃথিবীর কোথাও চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে সব মুসলিম ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করে আসছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কলেজ ছাত্রীর দাফন সম্পন্ন
বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
প্রায় আড়াইশ বছর আগে সাতকানিয়া মির্জাখিল গ্রামে হজরত মাওলানা মোখলেছুর রহমান জাহাগিরি (র.) হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী পৃথিবীর যেকোনো দেশে চাঁদ দেখা গেলে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করার ফতোয়া দিয়েছেন। তারই উত্তরসূরি হজরত মাওলানা আবদুল হাই জাহাগীরির অন্যতম প্রধান খলিফা চন্দনাইশ শাহ্ছুফি দরবারের পীর হজরত মাওলানা শাহ্ছুফি আমজাদ আলী (র.) এর মুরিদ ও অনুসারীরা একই নিয়মে সকল ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।
মির্জাখীল দরবারে আলীয়া জাহাগিরিয়ার মাওলানা আবদুর রহমান জানান, আমরা যেহেতু সৌদি আরবের দিনক্ষণ অনুসরণ করি, সে অনুযায়ী বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতর পালন করেছি।
এ ছাড়া হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে মির্জাখীল দরবার শরিফের অনুসারী রয়েছে। যারা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করেন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।