দেলওয়ার হোসাইন, পেকুয়া ;
বেশ কয়েক বার পেকুয়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখি ঝড়ে উড়ে গেছে এক বিধবা ও প্রতিবন্ধীর বসত ঘর, অর্থ অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ঘর মেরামতের উপায় না থাকায় গত দু সপ্তাহ ধরে বাধ্য হয়ে দুই সন্তানসহ পরিবারে ৮ সদস্য নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি।
গত ৪ মে রাতে কালবৈশাখি ঝড়ে উড়ে যায় কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের হাজিরপাড়া এলাকার বিধবা প্রতিবন্ধী রোজিনা বেগমের বসতঘর ।
জানা যায় বেশ কিছু দিন আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যায় রোজিনার স্বামী। দুই সন্তান নিয়ে অসহায় রোজিনা পিতা বাড়িতে আশ্রয় নেন। মানুষের সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে বেঁচে থাকা এই প্রতিবন্ধীর একমাত্র বসবাসের শেষ আশ্রয়স্থল ঘরটিও কালবৈশাখি ঝড়ে উড়ে গেলে বাধ্য হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করতে হচ্ছে।
বিষয়টি জানতে পেয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রতিবন্ধীর ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে গিয়ে ব্যক্তিগত অর্থ সহায়তা প্রদান করেন । এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করে ঘর মেরামত ও প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন,সরকারের পাশাপাশি অসহায় প্রতিবন্ধী মহিলার পাশে দাঁড়াতে সমাজের বিত্তবান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানন।
গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে অসহায় বিধবা প্রতিবন্ধী পরিবারটি খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করলেও
এখনও পর্যন্ত কোন জনপ্রতিনিধি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসেনি।
পরিবারের একমাত্র উপার্জন নির্ভর রায়হান বলেন, আমি টেলা গাড়ি চালিয়ে পরিবারের ব্যয় নির্বাহ করি। এমন কোন জমানো টাকা নেই যে ঘরটি মেরামত করবো তাই বাধ্য হয়ে পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।
পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
খবর পড়ুন
সৈকতে গোসলে নেমে যুবক আহত
শ্রম আইন সংস্কারে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা এবং বাধা: একটি ব্যাপক পর্যালোচনা
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।