নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ সরকার ও সুইজারল্যান্ডের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের সহায়তায় স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ভৈরব পৌরসভায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু করা হয়েছে।
রোববার বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি ও ভৈরব পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ইফতেখার হোসেন পৌরসভা কার্যালয়ে এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। নির্ধারিত সময়সীমা অনুযায়ী সকল পৌরসেবা এক জায়গা থেকে প্রদানের লক্ষ্যে চালুকৃত এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার স্থাপনে কারিগরি সহায়তা প্রদান করেছে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক আইটি সংস্থা সেলিস ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মস।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌরসেবা সমূহের ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে নাগরিকদের কাছে এক জায়গা থেকে সহজে সেবা পৌঁছে দেওয়াই এই ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মূল উদ্দেশ্য। দ্রুত ও সহজে সেবা প্রাপ্তির ফলে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ উন্নয়ন ও নাগরিক জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধিকরণের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্থানীয় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
উল্লেখ্য যে, স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিডি) ও সুইস কন্টাক্ট-এর যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন প্রবৃদ্ধি প্রকল্পটি ভৈরব সহ বর্তমানে দেশের সাতটি পৌরসভার সাথে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে কাজ করছে।
ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি এই উদ্যোগের পিছনে সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের উদ্বোধন সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতার একটি উদ্যোগ। নাগরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে এই উদ্যোগ টেকসই স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে’।
ভৈরব পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের উদ্বোধন ভৈরব পৌরসভায় অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন প্রক্রিয়া এবং নাগরিক সেবা-কেন্দ্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সমন্বিতভাবে সুবিন্যস্ত প্রক্রিয়ায় পৌরসেবা প্রদানের মাধ্যমে নাগরিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করে সার্বিক অর্থনৈতিক সমবৃদ্ধি অর্জন করাই এখন আমাদের মূল প্রচেষ্টা’।
প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের টিম লিডার মার্কাস এহমান বলেন, ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে অত্যাবশ্যকীয় পৌরসেবা সমূহের কেন্দ্রীকরণ ও ডিজিটাইজেশন করার ফলে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি স্থানীয় নাগরিকদেরও ক্ষমতায়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও সুইস কন্টাক্ট-এর এই যৌথ সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা, ডিজিটাইজেশন ও নতুন নতুন উদ্ভাবনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সকলে মিলে তৃণমূল পর্যায়ে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন করতে পারবো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেলিস ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সিইও জুলিয়ান ওয়েবার বলেন, ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের যাত্রা প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মেলবন্ধনকে আরও জোরদার করে। নতুন উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আমরা স্থানীয় পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধি ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনে সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছি’। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সুইজারল্যান্ড দূতাবাস ও প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ, এবং পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।