রক্ষণশীলতার খোলস থেকে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। তেল নির্ভরতা কমিয়ে পর্যটন খাতে জোর দিচ্ছে দেশটি। ধর্মীয় দিক থেকেও উদার মনোভাব প্রদর্শন করছে। নারীদের গাড়ি চালানো, মাঠে বসে খেলা দেখা এবং সিনেমা হল চালুর অনুমতির পর এবার ‘নাইট ক্লাব’ চালু করেছে সৌদি আরব। মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসেই রিয়াদের একটি অভিজাত এলাকায় বিস্ট হাউস নামে একটি নাইটক্লাব চালু করা হয়েছে। এ নাইটক্লাবে নারীদেরও প্রবেশাধিকার রয়েছে। এছাড়া এতে রয়েছে মিউজিক ভেন্যু, একাধিক স্টুডিও এবং ডিজে পার্টির ব্যবস্থা। সৌদিতে আইনত মদ নিষিদ্ধ থাকায় ক্লাবেও মদ নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। তবে আগত অতিথিদের জন্য মকটেল ও বিভিন্ন অ্যালকোহলযুক্ত পানির ব্যবস্থা থাকবে।
নাইটক্লাবে একদল রক্ষী বা বাউন্সারও রয়েছেন যারা নিশ্চিত করবেন কেউ অ্যালকোহল নিয়ে প্রবেশ না করে। সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই এই ক্লাবে। এজন্য হতে হবে স্থায়ী সদস্য, যার খরচ বছরে ১ হাজার ৮০০ ইউরো, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৬৭ টাকা। সৌদি ধনকুবেরদের জন্য এ খরচ বিশেষ কিছু নয়।
এর আগে, ২০১৮ সালে প্রায় চার দশক পর সৌদিতে পুনরায় সিনেমা হল চালু করা হয়। বর্তমানে দেশে ৬৬টি সিনেমা হল এবং ৬১৮টি পর্দা রয়েছে। ২২টি শহরজুড়ে থাকা এই সিনেমা হলগুলিতে ৬৩ হাজার ৩০০ আসন রয়েছে, যা আরব বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ছয় বছরে সৌদিতে প্রায় ১ হাজার ৯০০ সিনেমা প্রদর্শিত হয়েছে এবং এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন রিয়াল। গত বছর দেশটিতে ১৬ হাজার ৬০০ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়েছে।
সৌদি আরবের এই উদার মনোভাব এবং পরিবর্তনশীল উদ্যোগগুলো দেশটির অর্থনীতি এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন যুগের সূচনা করছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।