বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে খাগড়াছড়ি থেকে নারী পাচারের দায়ে এক চীনা নাগরিকসহ দুজনকে আটক করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ।
রবিবার (০৯ জুন) ভোরে ঢাকার উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে জিসাও সুহুই (৩৪) চীনা নাগরিককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে পাঁচ কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পাচার চক্রের মূলহোতা সুমি চাকমা প্রকাশ হেলিকে (৩৬) গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হয়েছিল।
রবিবার (০৯ জুন) বিকেলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিং-এ এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
তিনি জানান, অভিযুক্ত সুমি চাকমা বিভিন্ন মাধ্যমে খাগড়াছড়ির পানছড়ির বাসিন্দা এক কিশোরীকে চীনে যাওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখান। এক পর্যায়ে সে রাজি হয় এবং তার এক বান্ধবীকে জানালে সেও চীনে যেতে রাজি হয়। অভিযুক্ত সুমির কথা অনুযায়ী তারা খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকার উত্তরার একটি ফ্ল্যাটে আসলে সেখানে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় এবং সবার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে ঘরে আটকে রাখা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, এই ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার থেকে অভিযোগ জানালে অভিযানে নামে পুলিশ। পরে ঢাকার উত্তরার ওই ফ্ল্যাট থেকে জিসাও সুহুই নামের এক চীনা নাগরিককে আটক করা হয়। এ সময় ফ্ল্যাটে আটকে রাখা মোট পাঁচজন কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার পাঁচ কিশোরীর দুইজন খাগড়াছড়ির এবং তিনজন রাঙ্গামাটির বাসিন্দা। কিশোরীরা ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী বলে জানা গেছে। নারী পাচারের এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পানছড়ি থানায় মামলা রুজু করা হয়। সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটিকে গ্রেফতারের জন্য ধৃত আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে। এই চক্রে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের চৌকশ আভিযানিক টিম কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে আটক চীনা নাগরিককে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।