সিবিএন:
পর্যটন মৌসুমকে সামনে নিয়ে শুক্রবার থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে অন্যতম আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হিমছড়ি ইকোপার্ক। দীর্ঘদিন সাজসজ্জা ও উন্নয়ন কাজ শেষে পর্যটকদের পছন্দের এই পার্কটি খুলে দেয়া হচ্ছে। সার্বিক প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আজ সকাল নাগাদ আনুষ্ঠানিকভাবে পর্যটকসহ দর্শনার্থীদের জন্য পার্কটি খুলে দেয়া হবে। একই সাথে পার্ক সংলগ্ন ঝর্ণাও খুলে দেয়া হবে। ফলে আজ থেকে প্রতিদিন পার্কটিতে ঘুরে আসা যাবে।

কক্সবাজার সৈকতের পর পর্যটকদের মুখে উচ্চারিত হয় হিমছড়ির নাম। দেশের দর্শনীয় স্থানগুলোর অন্যতম ছিমছড়ি। পাহাড়, সমুদ্র ও ঝর্ণার অপূর্ব মিলনমেলা হিমছড়ি। এর সৈকত বেশ সুন্দর, কোনো কোলাহল নেই। ছিমছাম, শান্ত ও সুনসান পরিবেশের এ রকম সৈকত কোথাও নেই।সুউচ্চ পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে মুক্ত বাতাসে অক্সিজেন নিতে নিতে পাহাড়-সমুদ্রের মিতালি অবলোকন নিশ্চিত মনে শিহরণ জাগিয়ে দেবে! পার্কের ঝর্ণার উর্মিমালায় স্নান করতে কতই না আনন্দ!


নতুন সংযোজন হিসেবে যুক্ত হয়েছে রাতের বেলায়ও ঘোরা যাবে পার্কে। তার জন্য বিশাল নিরাপত্তা বাহিনীর সমন্বয়ে নিশ্চিত করা হয়েছে নিশ্ছ্রিদ্র নিরাপত্তা।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবার এক নতুন হিমছড়ি ইকোপার্ক দেখতে পাবে দর্শনার্থীরা। অতীতের সব সংকীর্ণতা কাটিয়ে এক অন্য রূপের সাজানো হয়েছে পার্কটিকে। পুরনো সব অবকাঠামো ঝেড়ে নতুন আঙ্গিকে তৈরি করা হয়েছে সবকিছু। সাজসজ্জায় ভরে তোলা হয়েছে সর্বত্র। সেখানে মিলবে সুন্দরের এক ফল্গুধারা। দেয়া হবে অনন্য আতিথেয়তা আর নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা

হিমছড়ি ইকোপার্কের বৈশিষ্ট:
কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হিমছড়ি জাতীয় উদ্যান। এখানে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র ও ঝর্ণার অপূর্ব মিলনমেলা। যা ভ্রমণপিপাসুদের বিমোহিত করে। একপাশে সুবিস্তৃত সৈকত আর অন্যপাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত কক্সবাজারের দিগন্ত বিস্তৃত সাগর দেখার জন্য এখানে রয়েছে ‘পিক’। পাহাড় থেকে সমুদ্র দেখার শখ যাদের, তাদের কাছে টেনে নেয় হিমছড়ি জাতীয় উদ্যানের ‘টপ হিল’ নামে পরিচিত এই পিক। এই পিকে দাঁড়িয়ে একসঙ্গে উত্তাল সাগরের ঢেউ, তার তীর ঘেঁষে ঝাউবন, এরই পাশ ধরে পাহাড়ের ভাঁজ দেখে হৃদয় জুড়িয়ে যাবে।
পাহাড়চূড়ার মাঝখানে আছে হিলটপ রিসোর্ট। পাহাড় থেকে নেমে আরেক পাশে রয়েছে ঝর্ণা। হিমছড়ি পাহাড়ের শীতল পানির ঝর্ণাটি অসাধারণ।

এখানে বেশ কয়েকটি ছোট-বড় পাহাড়ি ঝর্ণা রয়েছে। এসব ঝর্ণার পানিপ্রবাহ পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে বার্মিজ মার্কেট। সেখান থেকে আপনার প্রয়োজনীয় অনেক কিছু কেনাকাটা করতে পারবেন।

হিমছড়ি যত না সুন্দর, তার চেয়ে সুন্দর ও রোমাঞ্চকর কক্সবাজার থেকে এ সৈকতে যাওয়ার পথটি। এককথায় অসাধারণ, কাব্যিক, স্বপ্নের মতো সুন্দর। এক পাশে বিস্তীর্ণ সমুদ্রের বালুকাবেলা, আরেক পাশে সবুজ পাহাড়ের সারি। মাঝে পিচঢালা মেরিন ড্রাইভ। এমন দৃশ্য সম্ভবত দেশের আর কোথাও পাওয়া যাবে না। কেউ কক্সবাজার গেল অথচ এই পথ ধরে ছুটলে না, তার পুরো ভ্রমণই মাটি।