পহেলা ফাল্গুনে বসন্তবরণ উৎসব ও ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে বাড়ে ফুলের চাহিদা। আর এ সময়কে বিক্রির মৌসুম বলে চড়া দামে ফুল বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিশেষ করে দাম বাড়ানো হয়েছে গোলাপের। রাজবাড়ীতে প্রকারভেদে প্রতি পিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এ দিবসকে কেন্দ্র করে বিপুল ফুল মজুত করেছেন রাজবাড়ীর ব্যবসায়ীরা। তবে সবচেয়ে বেশি মজুত করা হয়েছে গোলাপ ফুলের। স্থানীয়ভাবে রাজবাড়ীতে কোনো ফুল চাষ না হওয়ায় যশোর, কালীগঞ্জসহ কয়েকটি স্থান থেকে ফুল আমদানি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
ফুলের দাম ও পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় এবার খুচরা পর্যায়ে ফুলের দামও বেড়েছে বলে জানান তারা।প্রতি পিস গোলাপ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে আগামীকাল বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দাম আরও বাড়বে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
রাজবাড়ি জেলা শহরের বড়পুল ও পান্না চত্বর এলাকায় ফুলের বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
শহরে রাজবাড়ি ফুল সেন্টার, নূপুর ফুল সেন্টার, রাজবাড়ি ফুলঘর, বিধি ফুলঘরসহ বেশ কয়েকটি ফুলের দোকান রয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক ব্যবসায়ী বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে ৫০ হাজার থেকে দুই লক্ষাধিক টাকার ফুল আমদানি করেছেন। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোলাপের পাশাপাশি এসব ফুলের দোকানে মিলছে জারবেরা, রজনিগন্ধা, অর্কিট ফুল।
কথা হয় ফুল ক্রেতা মেহেদী হাসান, আয়েশা ইসলামসহ কয়েকজনের সঙ্গে। তারা বলেন, ফুলের দাম বেশি। একটি গোলাপের সর্বনিম্ন দাম ৫০ টাকা। আগামীকাল দাম আরও বাড়বে। তবে বাধ্য হয়ে চড়া দামেই তারা ফুল কিনছেন।
ফুল বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, বিশেষ দিনে তিনি একেকটি গোলাপ ৫০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করেন। আশা করছেন তার সব ফুল বিক্রি হয়ে যাবে।
রাজবাড়ীর আরেক ফুল বিক্রেতা কালাম মণ্ডল জানান, বসন্ত উৎসব ও ভালোবাসা দিবস উপলক্ষ্যে এক লাখ টাকার ফুল এনেছেন। তার কাছে লাল, হলুদ, সাদাসহ পাঁচ ধরনের চার হাজার গোলাপ রয়েছে। তবে অন্য বছরের তুলনায় এবার বাজারদর বেশি। যে কারণে একটু চড়া দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।