অনলাইন ডেস্ক:

বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব ও ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, দ্বাদশ সংসদ বাতিল এবং সরকারের পদত্যাগসহ একদফা দাবিতে আমরা আন্দোলনে রয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব।

তিনি আরও বলেন, আজকে আমরা বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়েছে, হুমকি দিয়েছে। আজকে মানুষের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না। সংকট উত্তরণে এই সরকারকে বিদায়ে চলমান আন্দোলন আরও বেগবান করতে হবে।

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডে বিএমএ ভবনের সামনে ১২ দলীয় জোটের এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে পুলিশি বাধায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশ করতে পারেননি জোট নেতারা।

দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তখন বলেন, আপনারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে কর্মসূচি করতে পারেন। এখানে আমাদের তরফ থেকে কোনো বাধা নেই। কিন্তু কোনো রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কর্মসূচি করতে দিতে পারি না।

সরেজমিন দেখা যায়, সকাল ১১টার দিকে ১২ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা সমাবেশের জন্য জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের ফুটপাতে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় তারা স্লোগানও দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং জোট নেতাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে নেতারা পুলিশি বাধায় সমাবেশ না করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি মেহেরবা প্লাজার সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলের সাথে পুলিশ থাকলেও তারা কোনো বাধা সৃষ্টি করেনি।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ১২ দলীয় জোটের আন্দোলন চলছে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

এ সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদাও বক্তব্য দেন।

বিক্ষোভ মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির একাংশের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপির মো. ফরিদ উদ্দিন, আব্দুল হাই নোমান, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

কর্মসূচির শুরুতে ১২ দলীয় জোটের প্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, মহাসচিব আহসান হাবীব লিংকন উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র: কালবেলা